নির্বাচন করবেন না হাবিব উন নবী খান সোহেল
ইন্জিনিয়ার মাসুদ ———–রিপো,
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়া কথা জানিয়েছে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। তিনি মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না করার কথা জানিয়েছেন।
তার পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তার পক্ষ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করা হলেও তাকে তার কাংঙ্খিত আসন থেকে মনোনয়ণ দেওয়া হচ্ছে না। দলীয় হাইকমান্ডের কিছু স্বার্থান্বেষী লোকের কারণে তাকে অন্য আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে কারণে তিনি নির্বাচনে না যাওয়ার মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
এছাড়াও গণতন্ত্রের মা, বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও রাজনৈতিক কারণে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের রোষানলে পড়েই সরকারের সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রেখেছে। সেই কারণে তিনিও নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তাদের সাথে একাত্ত্বতা ঘোষনা করে আওয়ামীলীগ নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশনের একপক্ষ নির্বাচনের নীরব প্রতিবাদ করছেন। হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ৬শতাধিক রাজনৈতিক মামলার স্বীকার হয়ে বর্তমানে কারাবাস করছেন। তবে তিনি কারাগারে থাকলেও নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আইনী কোন বাধা ছিলো না। ৮ই ফেব্রুয়ারী বেগম খালেদা জিয়ার কোর্টে যাবার পথে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ও বিপুল জনসমাগম করে নতুন ইতিহাস তৈরী করেন তিনি। বিএনপির দূঃসময়ের কান্ডারী, তৃণমূলের আস্থা এবং সাহসের প্রতীক বিএনপির ত্যাগী এই নেতা নির্বাচন না করার তার সমর্থকেদর মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে এক ধরণের চাপা ক্ষোভ। সাধারণ নেতাকর্মীদের দাবি স্বজনপ্রীতির কারণেই জাতীয়তাবাদের চেতনায় বিশ্বাসী এই নেতাকে তার কাংঙ্খিত আসনে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য আসন থেকে মনোনয়ন দিয়ে দলীয় নীতি নির্ধারকরা বিএনপির ত্যাগী সংগ্রামী ঐতিহাসিক ও ক্যারিশম্যাটিক এই নেতার প্রতি অবিচার করেছেন।