ফরিদ উদ্দিন বিপু, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,
জেলে কামাল সাগরে ইলিশ মাছের ব্যবসার জন্য দাদনের টাকা নেয়। সেই পাওনা টাকা চাইতে গেলে দেই-দিচ্ছি বলে শুধু ঘুরাচ্ছে। বরং কতিপয় দুশ্চরিত্র লোক দ্বারা নিজ স্ত্রীকে ধর্ষন করিয়ে ৫ জনকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে। এমন দাবী করে রবিবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সোনা গাজীসহ কুয়াকাটা খাজুরা গ্রামের বেশ কয়েকজন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
লিখিত বক্তব্যে সোনা গাজী উল্লেখ করেন, কুয়াকাটা খাজুরা গ্রামের মো: কাওসার তালুকদার একই এলাকার মো: কামালকে সাগরে ইলিশ মাছের ব্যবসার জন্য ৫,০০,০০০/(পাঁচলক্ষ) টাকা প্রদান করেন। টাকার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য কামাল ২৫ ফেব্রæয়ারী তার আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক আলীপুর শাখা সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১২০১১২০০১৫৬৯৯-এর একটি চেক প্রদান করে, যার চেক নং-বি ৪৭০২৫৫। দাদনের টাকা পরিশোধের সময় অতিবাহিত হলে কামাল মাসের পর মাস কাওসারকে ঘুরাতে থাকে। পর্যায়ক্রমে কাওসার পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষে একাধিকবার সালিশ-মীমাংসা ও আপোষ-ফয়সালার চেষ্টা করে ব্যর্থ, নিরুপায় হয়ে নিজে বাদী হয়ে কামালকে আসামী করে কলাপাড়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩৪৬/২০, একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলা থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপকৌশলের আশ্রয় নেয় সন্ত্রাসী কামাল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, কামাল খুবই খারাপ চরিত্রের লোক, যে না পারে এমন কোন কাজ নেই। দাদনের টাকা না দেয়ার জন্য কামাল নিজে ও এলাকার কতিপয় দুশ্চরিত্র লোক দ্বারা নিজের ফুপাতো বোনকে ধর্ষন করে, এমনকি নিজের স্ত্রীকেও অপরাপর লোক দ্বারা ধর্ষন করিয়ে পাওনাদার কাওসার তালুকদার ও সোনা গাজীসহ ৫ জনকে আসামী করে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। তিনি বলেন, ইলিশ মাছের ব্যবসার জন্য কুয়াকাটা খাজুরা গ্রামের মো: বাবুলকে ২,০,৫০০০/(দুই লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা প্রদান করি। বাবুল আমার টাকা না দেয়ার জন্য সন্ত্রাসী সোহেল ফকিরের আশ্রয় নেয়, যা আমার জানা ছিলনা। পরে গত ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলে পূর্ব-পরিকল্পিততভাবে লেবুর চরে ওৎপেতে থাকা বাবুল ও সোহেল ফকির আমাকে এলোপাথারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে সোহেল ফকিরসহ ৩ জনকে আসামী করে ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল তারিখ মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করি, যার মামলা নং-১৮১/১৯।
সোনা গাজী আরো বলেন, আমি নিজে বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলা ও কাওসার তালুকদারের মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা এলাকার নারী ধর্ষন, খুন-খারাপিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। তাই তাদের এহেন অপকর্ম আড়াল করতে কাওসার তালুকদারের টাকা না দেয়ার অপচেষ্টা এবং আমার টাকা না দিতে লম্পট কামাল নিজের ফুপাতো বোনকে নিজে ধর্ষন করে এমনকি তার মিথ্যা মামলায় যাদেরকে স্বাক্ষী হিসেবে দেয়া হয়েছে তাদেরকে দিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষন করিয়ে আমাকে ও কাওসারকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। দুধর্ষ, লম্পট কামাল নিজে তার ফুপাতো বোন হাফিজাকে ধর্ষন করলে হাফিজা সে কথা বড় বোন খাদিজাকে অবগত করেন। যেকারনে বড় বোন খাদিজা বাদী হয়ে কামাল ও তার স্ত্রীকে আসামী করে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং- ২৭৯/২০, যে মামলায় কামাল বর্তমানে জেল-হাজতে রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করে যাহাতে কামালের কাছে পাওনা টাকা পাইতে পারি এবং মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রান পাইতে পারি সে ব্যাপারে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত কামাল জেলে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া অভিযুক্ত সোহেল ফকিরের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।