চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ভৈরব নদ খননের সময় বহু পুরোনো একটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড়গোড় পাওয়া গেছে। লোকমুখে প্রচলিত আছে, খননের জায়গাটিতে প্রায় ২০০ বছর আগে একটি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল।
উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের পাশে ভৈরব নদ খননের সময় গতকাল শুক্রবার জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড়ের সন্ধান পান শ্রমিকরা। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে ভিড় করেন।
ভৈরব নদী খননের কাজ ২০১৯ সাল থেকে চলছে। খনন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার মহব্বত হোসেন জানান, ড্রেজার দিয়ে খনন করার সময় জাহাজের অংশ বিশেষ উঠে আসে। পরে শ্রমিকরা সেখানে নেমে আরও কিছু অংশ পান। সেই সঙ্গে মানুষের হাড়ের অংশ বিশেষও পাওয়া গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল ইসলাম জানান, ভৈরব নদ দিয়ে কার্পাসডাঙ্গা থেকে কলকাতায় বাণিজ্য করতো ব্রিটিশরা। খননের ওই স্থানটিতেই ইংরেজদের একটি নীলকুঠি ছিল। সেই সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোনো দুর্ঘটনায় ডুবে যেতে পারে জাহাজটি।
কোমরপুর গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা মোফাজ্জেল হোসেন জানান, তিনি তার বাবার কাছে শুনেছিলেন এক ঝড়ে ব্রিটিশদের একটি জাহাজ ডুবে যাওয়ার কথা।
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস জানান, তাদের ধারণা জাহাজটির মালামাল ২০০ বছরেরও বেশি পুরোনো।