‘‘হ্যালো ……., টাকা পাঠাইছি তো, তোমাদের ইচ্ছে মতো কেনা কাটা করে নিও। হ্যালো ……, হ্যালো …….। আহা রে আবার কল ড্রপ। মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্কই পাওয়া যাচ্ছিল না। কি জানি ফোনটাই নষ্ট হলো কি না। খুবই খারাপ অবস্থা নেটওয়ার্কের। আমার তো মনেই ছিলো না, আমার সিমটাই যে গ্রামীণ ফোনের। বেশ অভিজ্ঞতা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে নেটওয়ার্কের অবস্থা খুবই খারাপ।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে কথা গুলো বলছিলেন গ্রামীণফোনের সিম ব্যবহারকারী বাবু নামের একজন গ্রাহক। গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের অভিজ্ঞতার আলোকে যুগান্তর কে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গতদু‘দিন অত্র এলাকায় গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক অবস্থা এত বাজে ছিল, যা কাউকে বোঝানো যাবে না। জরুরি কাজ সম্পন্ন করতেও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। নেটওয়ার্ক এবং কলড্রপ নতুন সমস্যা নয়, কিন্তু সম্প্রতি কলড্রপ ও নেটওয়ার্ক সমস্যা খুবই প্রকট হয়ে উঠেছে। সামনে ঈদের সময় তো, পরিবার আত্মীয় স্বজনদের সাথে কোন কথাই বলা যায় না।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মমর্তা মো. শামছুল আলম জানান, দুর্গাপুর পৌরশহর এলাকা সহ আশ- পাশের এলাকাতে জিপিতে (গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক) ৫ মিনিট কথা বলতেই সমস্যা। কর্পোরেট সিম হওয়ায় বাতিলও করা যাচ্ছে না। গত দুইদিন হলো সমস্যা প্রকট আকারে ধারণ করেছে। মডেমে এই সিম ব্যবহার করে, ঢাকা অফিসে কোন প্রকার মেইল পাঠানো সহ অন্যান্য কোন কাজই করতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন, শহরের টাওয়ারটি তে কোন জেনারেটর না থাকায়, কারেন্ট চলে গেলেই নেটওয়ার্ক প্রচুর আপ-ডাউন করে। ফোরজি থেকে মাঝে মাঝেই থ্রিজি হয়ে যাচ্ছে। ঠিক হতে ১০ মিনিট বা তারও বেশি সময় লেগে যায়। আমার অফিসের অধিকাংশ মানুষ আমার মতোই সমস্যায় পড়েছেন। এ বিষয় নিয়ে জিপিতে অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, এ সমস্যাতে আমরাও দীর্ঘদিন ধরে ভুগছি। এ নিয়ে অতিসত্তর গ্রামীণফোনের উর্দ্ধতন মহলে কথা বলবো।