রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের শালমারা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু,সহদরকে হাতুরী পেটা ও দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
শালমারা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মো: ওবায়দুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শালমারা গ্রামের রাজ্জাক ফকিরের ছেলে মো: ইমদাদ ফকির , মো: মোস্তাক ফকির , মো: বাবু ফকির , মো: সোহেল ফকির , মো: সবুর ফকিরসহ আরও অজ্ঞাত ৪-৫ জন তুচ্ছ বিষয়ে তাদের সাথে আমার পূর্ব শত্রæতা রয়েছে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার ফজর নামাজ পড়ে সকাল সাড়ে ৬ টার সময় শালমারা গুণপাড়া মসজিদ সংলগ্ন আমার মুদি দোকান খোলার পর তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র হাতুড়ি, দা, লোহার রড, রামদাসহ লাঠিশোটা নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। ইমদাদ ফকিরসহ অন্যদেরকে হুকুম দেয় শালাকে শেষ করে দে। এ কথা বলার সাথে সাথেই মোস্তাক ফকির হাতে থাকা দা দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দেয়, সে কোপ মাথার ডান পাশে লেগে গুরুতর কাটা রক্তাত্ত ক্ষত জখম হয়। বাবু ফকিরের হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে সে আঘাত মাথায় লাগিয়া রক্তাত্ত জখম হয়। সোহেল ফকিরের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার ঘাড়ে আঘাত করলে সে আঘাত পিঠে লাগিয়া রক্তাত্ত জখম হয়। সবুর ফকিরের হাতে থাকা রামদার হাতল দিয়ে পায়ের উপরের অংশে বেধড়ক মারধর করে, এতে নিলাফোলা জখম করে। আমি রক্তাত্ত হইয়া আত্মচিৎকার করে মাটিতে পরিয়া গেলে ইমদাদ ফকির বুকের উপর বসে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। অজ্ঞাত ৪-৫জন হাতে থাকা বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করিয়া নিলাফোলা জখম করে। আমাকে রক্ষার জন্য আমার আপন ছোট ভাই মো: মনির হোসেন (এরশাদ) আমাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসলে ইমদাদের হুকুমে বাবু, সোহেল, সবুরসহ অজ্ঞাত ২ জন তাকে কিলঘুষি, লাথি মারিয়া মাটিতে ফেলে দেয়। বাবুর হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে আমার ছোট ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে, সে আঘাত লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পিঠে লাগিয়া রক্তাত্ত জখম হয়। এরপর সকল মিলে লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা জখম করে। আমাদের শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ইমদাদ আমার দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এরপর অন্যান্যরা আমার দোকানে প্রবেশ করে দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়, যার মূল্য ৩ লক্ষাধিক টাকা। তারা যাবার সময় বলে, এবারের মত বেঁচে যায় তাহলে পরবর্তীতে বাড়ীতে গিয়ে পরিবারের সকলকে হত্যা করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবো। লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার ছোট ভাই বালিয়াকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছি। এ ব্যাপারে বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।