

দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা। বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার ও আর্কাইভ অডিটোরিয়ামে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। তিনি কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন এবং তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর পশ্চিম শাখার সভাপতি হাফেজ আবু তাহের এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি মুহিব্বুল্লাহ আল হোসাইনী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, সৎ, আদর্শ, দেশপ্রেমিক ও দক্ষ নাগরিক তৈরির জন্য মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়নের বিকল্প নেই। যে জাতি মেধাকে সম্মান করে না, সে জাতি কখনও অগ্রসর হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ভিয়েতনাম এক সময় বাংলাদেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল। অথচ তারা মাত্র দুই দশকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা আজও পিছিয়ে আছি নিজেদের ভুল রাজনীতি, দলাদলি আর সংঘাতের কারণে। আমাদের দেশের ৬০ শতাংশ মেধাবী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে চলে যায়। অথচ আমাদের দেশে ইউরেনিয়াম, তেল-গ্যাস, কয়লা, সমুদ্র, করিডোরসহ বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। দেশের ৯১ শতাংশ জনসংখ্যাই কর্মক্ষম। এই সম্পদ ও মানবসম্পদকে কাজে লাগাতে হলে মেধাবীদেরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাফেজ আবু তাহের বলেন, মেধাবীদের উৎসাহিত করতে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই আয়োজন করা হয়েছে। ছাত্রদের কৃতিত্বের পেছনে অভিভাবক ও শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে শুধু ভালো ফলাফল নয়, নৈতিকতা ও আদর্শিক দিক থেকেও শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে।
এ সময়, সামাজিক ও আইনি বিষয়ক মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন রানার দ্বিতীয় পুত্র মোঃ তাহসান মাহমুদ চৌধুরী চলতি বছরে সেকেন্ডারী স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (এসএসসিতে) গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, এবং তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও বই তুলে দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
মোঃ তাহসান মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বোর্ডের তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার টঙ্গী শাখার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত ছিলেন।