কয়েকদিনের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব বুঝে নেবেন জো বাইডেন। আর ক্ষমতা ছাড়াতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট শেষ মুহূর্তে এসে চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আরও উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করলেন। খবর রয়টার্সের।
দক্ষিণ চীন সাগরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের প্রশাসন আরও একবার চীন এবং তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ছাড়ার স্মাটফোন তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান শাওমিসহ নয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর আরোপ করা হয়েছে বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীনের সঙ্গে বহুদিন ধরেই উত্তেজনায় জড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন ক্ষমতার একেবারে শেষ পর্যায়ে এসেও ট্রাম্পের এমন বৈরিতাপূর্ণ আচরণে দেশ দুটির মধ্যে এ উত্তেজনা আরও বাড়বে। বাইডেন ক্ষমতায় বসার আগেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ট্রানজিশন টিম।
আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞার অধীন নতুন বিধিনিষেধের মুখে পড়বেন চীনের সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর নির্বাহীরা, ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি ও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা এবং বৃহৎ তেল কোম্পানি সিএনওওসি।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করছে উড়োজাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কোমাক ও মোবাইলফোন তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানসহ ৯টি ফার্ম চীনের সেনাবাহিনী বা তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পদক্ষেপের জবাবে চীনা দূতাবাস বলেছে ওয়াশিংটন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ইসুতে রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক ট্যাগ দিচ্ছে আর নিজেদের বর্ণিত জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে বিদেশি কোম্পানিগুলোর ওপর নিপীড়ন চালাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।