নিজের ভাই, মা ও পরিবারের সদস্য মিলে কুপিয়ে হত্যা করে মামা কে । রয়েছে ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মাকান্ডেরও অভিযোগ । এর পর পদ পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের ঢাকা জেলা উত্তরের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ ।
ফলে দলীয় পদের প্রভাবে তার নিজ ভাই এলাকায় চালাচ্ছেন মাদক ব্যবসা । এমনি সব অভিযোগ উঠেছে আশুলিয়ার পল্লিবিদু্ৎ এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকা জেলা উত্তরের স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা মাহাবুব হোসেন ওরফ তাজ আকনের বিরুদ্ধে । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার গ্রামের বাড়ি বরিশালের মুলাদী থানায় । গ্রামের বাড়িতে তার নাম তাজ আকন হলেও ঢাকার আশুলিয়ায় সবাই তাকে মাহাবুব নামেই চিনেন । বেশ কয়েক বছর আগে গ্রামের বাড়িতে তার নিজ মামা মন্নান শিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় । এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার্জশিট ভুক্ত আসামি ।
এর পর থেকেই গা ডাকা দেওয়ার জন্য আশুলিয়ার পল্লিবিদুৎ এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে দেয় । এখানে গ্রামের তাজ আকন নাম না ব্যবহার করে মাহবুব হোসেন বলে পরিচয় দিতে থাকেন । শুরু করেন এই এলাকার প্রাভাশালী ব্যক্তিদের ভাড়ায় ক্যাডার হিসেবে কাজ । জমি দখল, চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে থাকেন ।
এমনকি বছর তিনেক আগে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগে নিজের যায়গাও করে নেন তিনি । এর পরই আরো বেপোয়ারা হয়ে পড়েন এই নেতা । তার ছত্রছায়ায় ছোট ভাই ফয়সাল আকন শুরু করেন মাদক ব্যবসা । বেশ কিছু দেন আগে গ্রেফতারও হন ডিবি পুলিশের হাতে । ইয়াবা ও হোরোইন বিক্রির দায়ে করা হয় তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা ।
এছাড়া সম্প্রতি ওই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পল্লীবিদুৎ এলাকায় এক রাস্তা দখল করে গড়ে তুলেন সিমানা প্রাচীর । এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় প্রতিবেশী এক বাড়ির লোকজনের চলাচলের রাস্তা । বাধ্য হয়েই বিকল্প সরু পথে চলতে হচ্ছে ওই পরিবারের সদস্যদের । স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবলীগের একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করে বলেন, এ ধরনের একজন হত্যা মামলার আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী যদি দলিয় পদ পায় তাহলে সে আরো ব্যাপোয়ারা হয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক । তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তারা ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি । তবে ঢাকা জেলা উত্তরের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক সায়েম মোল্লা বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, তবে কেউ যদি এই ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে তদন্ত সাপেক্ষে দলের সিনিয়র নেতা কর্মীদের সাথে আলোচনা করে তার বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।