শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
জামাল হত্যা মামলার বাদী ইমরানের বসত বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় হরিলোট প্রতিবাদে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

ঘুর্ণিঝড় আম্পানের ছোবলে লন্ডভন্ড কুয়াকাটার সংরক্ষিত বনাঞ্চল

প্রতিবেদকের নাম / ১১৪
নিউজ আপঃ সোমবার, ১ জুন, ২০২০, ১:০১ অপরাহ্ন

ফরিদ উদ্দিন বিপু,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :- ঘূর্ণিঝড়আম্পানের ছোবলে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কুয়াকাটা সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও উপকুলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প। ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে ম্যানগ্রোব ফরেষ্ট এর হাজার হাজার গাছ। আম্পান তান্ডবে উপড়ে গেছে ঝাউ গাছসহ বনবিভাগের সৃজনকৃত কয়েক হাজার গাছ। ঝড়ো হাওয়ায় পুড়ে গেছে মাইলের পর মাইল বনাঞ্চলের গাছ। ঢেউয়ের তান্ডবে বিলীন হয়ে গেছে কুয়াকাটা সৈকতে অবস্থিত জাতীয় উদ্যানের বেশির ভাগ ঝাউ গাছ। ঝুকিঁর মুখে রয়েছে জাতীয় উদ্যানের ফরেষ্ট ক্যাম্প। আম্পান তান্ডবে বনবিভাগের ক্ষতির পরিমান এতই বেশি যা পুরণ করা সম্ভব নয় বলে পটুয়াখালী বনবিভাগ জানান। পরিবেশবাদী সংগঠন ‘বেলা’র বরিশাল বিভাগীয় সমন্নয়কারী লিংকন বায়েন বন ও সবুজ বেষ্টনীর ক্ষতির বিষয়ে উদ্যোগ প্রকাশ করেছে। বেলা জানান, বন ও বনের গাছ পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে। প্রতিবছর ঘুর্ণিঝড়ের কবলে যেভাবে বন ও সবুজ বেষ্টনী ধ্বংস এর ফলে পরিবেশের উপর মারাক্তক প্রভাব পড়ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে মানুষের উপর।
সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করেছে সমুদ্র সৈকতের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও সবুজ বেষ্টনী আর ম্যানগ্রোভ বন। উপকুলের রক্ষা কবজ হিসেবে এ বন উপকুলকে সব সময় রক্ষা করে আসছে। আর সেই রক্ষা কবজ আম্পান তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এই বন না থাকলে উপকূলকে বাচাঁনো সম্ভব হতো না। সিডর,আইলা,নারগিস,আম্পানসহ বড় বড় ঝড়কে মোকাবেলা করেছে বন। বনের কারনে রক্ষা পেয়েছে উপকূল বাসি। উপকুলীয় এলাকার মানুষের জীবন ও সম্পদের রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করেছে সব সময়। বনের কারনে প্রবল শক্তির এই ঘূর্ণিঝড় সেভাবে আঘাত হানতে পারেনি উপকুল ভাগে। এই বনাঞ্চল  না থাকলে উপকূলে বড় ধরণের তান্ডব হতে পারতো বলে পরিবেশবিদরা মনে করেন। উপকূলীয় বনাঞ্চল যেভাবে রক্ষা করেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়। বনাঞ্চলের ওপর দিয়ে দুই ধরণের ধাক্কা যায়। প্রথমে ক্ষিপ্র গতির বাতাস এরপর জলোচ্ছ্াস। বনাঞ্চলের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাস বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অপেক্ষাকৃত কম গতি নিয়ে লোকালয়ে পৌঁছায়। বনে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ যেখানে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার ছিল, সেটা বন পার হয়ে লোকালয়ে যেতে যেতে শক্তি হারিয়ে দমকা বাতাসে রূপ নেয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবছর ঘুর্ণিঝড় ও সমুদ্রের প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বন এবং উপকুল ভাগ।
বিশেষ করে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলার তান্ডব থেকে এই বন উপকূলকে রক্ষা করেছে। সেই দুর্যোগে বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হয়েছিল বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। বনের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর ক্ষতি হয়েছে অনেক। তবে এবারের ক্ষয়ক্ষতি সিডরের মতো না হওয়ায় বন খুব দ্রæত নিজ সক্ষমতায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে অনেক সময় লাগবে বলে স্থানীয়দের ধারনা। সেক্ষেত্রে বন বিভাগের সু-নজর কামনা করছেন উপকূল বাসী।
পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘুর্ণিঝড় আম্পানে বনের ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে জানা যাবে। তবে উপকুল ভাগে যে পরিমান গাছপালা ক্ষতি হয়েছে তা পুরণ করার নয়। তিনি আরো বলেন, উপড়ে পড়া গাছ যাতে কেউ নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য নজর রাখছে বন কর্মীরা। 


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share