
বিশেষ প্রতিনিধি : মুজাহিদ খাঁন কাওছার
গুমের শিকার সুরুজ্জামান সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা জেলা যুবদল,ও সাবেক সভাপতি সাভার পৌর ছাত্রদল।
সাভারের যুবদল নেতা সুরুজ্জামান গুমের শিকার হন ২০২৩ সালে। গুম হওয়ার ৬ দিন পর তাকে ফেরত দেওয়া হয়।
পরিবার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর। ডিবি পুলিশ তাকে নাটকীয়ভাবে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী সুরুজ্জামানের।
তিনি বলেন ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে-দেশজুড়ে তখন ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের উত্তাপ।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকায় ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন।
এ অবস্থায় আদাবরের ভাড়া বাসা থেকে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট, আমাকে তুলে নিয়ে যায় ডিবির একটি টিম।
তিনি বলেন-গুমের পর অজ্ঞাত স্থানে আমাকে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে, প্রথম তিন দিন কাটাতে হয়েছে রহস্যময় ‘আয়নাঘরে’, যেখানে সব সময় চোখ ও হাত বেঁধে রাখা হয়েছিল।
ভুক্তভোগী যুবদল নেতা সুরুজ্জামানের অভিযোগ নিখোঁজের পরদিন থেকেই শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন।
অন্ধকার ছোট একটি ঘরে শুধু ফ্যানের শব্দ শোনা যেত সেখানে দুনিয়ার কোন খবর বোঝা যেত না, দুনিয়ার কারো সাথে কোন যোগাযোগ করার ব্যবস্থা ছিল না, চারদিকে কালো অন্ধকার ,গুটগুটে একদম একটা কবর। সেখানে যেমন শারীরিক নির্যাতন করতো তেমনি মানসিক নির্যাতন করতো,খাবার হিসেবে পেতাম শুধু পাউরুটি আর কলা। টয়লেটে যেতে হলে হাতে রশি বেঁধে নিয়ে যেত।’
তিনি আরও বলেন, কতটা নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে আমাকে ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়, মেরে পিটিয়া আমাকে অজ্ঞান করে রাখা হতো, এরকম কত সাধারন মানুষ এবং আমাদের নেতাকর্মীকে খুন করা হতো আটকে রাখা হতো নির্যাতন করা হতো তার কোন হিসাব মিলানো কঠিন।
এরকম জঘন্য অপরাধ, মানবতা বিরোধী কাজ এই বাংলাদেশের না হয়, এই বাংলাদেশের মাটিতে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি হওয়া উচিত ,বিচার হওয়া উচিত ভবিষ্যতে যেন এরকম দুঃসাহস কেউ না দেখাতে পারে।
মানবতাবিরোধী অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।