খুলনার পাইকগাছায় খাল খননে ঠিকাদার দু’ধারে মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার গাছ কর্তন করছে। অভিযোগে, উপজেলার লতা ইউনিয়নের বদ্ধ পোদা নদী সরকার মিষ্টি পানি সংরক্ষণের জন্য খননের পরিকল্পনা নেন।
সে মোতাবেক মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ৭ কিলোমিটার খননের জন্য প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। চট্টগ্রামের ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি টেন্ডার পান। ৭ কিলোমিটার নদী খননের ৯৬ ফুট মুখে ও তলদেশে ৬৭ ফুট চওড়া হতে হবে।
এছাড়া গভীরতা পার্শ্ববর্তী জমি সমতল থেকে ১০ গভীরতা হবে। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে নদীর দুই, ধারে নিম, তেঁবুল, রেন্টি, খেজুর, গেওয়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। যে পক্ষিকূলের আবাস্থল,খাদ্যকূল ও অক্সিজেন অভাব দেখা দিয়েছে।
এসব বিষয় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস জানান, খাল খননের কাজ আমরা দেখা শুনা করছি। গাছ কাটার বিষয় স্থানীয় লোকজন তাদের লাগানো গাছ স্ব-উদ্যোগে কেটে নিয়েছে বলে আমি জানি।
বন বিভাগের পাই উপজেলা কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায় বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। নদী যেহেতু মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন খনন চলছে, আমি খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত পরে জানাবো।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স এর মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা কারোর গাছ কর্তন করছি না। যারা গাছ লাগিয়েছে তারা নিজেরা কেটে নিচ্ছে।
এ দিকে ভুক্তভোগী মোজাফফর, সুব্রত, অনিল, কৃষ্ণপদসহ শতাধিক লোক জানান, ঠিকাদার জোর করে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গাছ কেটে দিচ্ছে।