মো.ফরিদ উদ্দিন বিপু, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,
পটুয়াখালীর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী জজ চৌকি আদালতে দূর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। রবিবার রাতে সংঘবদ্ধ চোরের দল ভাড়াটে তিন তলা ভবনে অবস্থিত উভয় চৌকি আদালতের সব ক’টি কক্ষের আলমিরা, ফাইল কেবিনেটের তালা ভেঙ্গে এ দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত করে। ঘটনার পর সোমবার সকালে কলাপাড়া থানা পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ষ্টেনো টাইপিষ্ট আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী’র নামে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, কলাপাড়া পৌরসভার পুরাতন পানি ভবনে সদ্য স্থানান্তরিত উভয় আদালতের প্রথম কার্যদিবস শেষে রবিবার রাত ১১টার দিকে আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যার যার বাসায় যায়। এরপর সোমবার সকালে আদালতে কর্মরত জিআরও আদালতে এসে দেখতে পান কলাপসিবল গেটের তালা, তার কক্ষের দরজার তালা ভাঙ্গা। সমস্ত মূল্যবান কাগজপত্র, মালামাল ও আসবাব পত্র এলোমেলো। ষ্ট্রীলের আলমিরা, ট্রাংক, টেবিল ড্রয়ার সবকিছু ভাঙ্গা। উভয় আদালতের ১ম, ২য় ও তৃতীয় তলার প্রতিটি কক্ষের দরজার তালা, আলমিরা, ফাইল কেবিনেট, টেবিল ড্রয়ারের সকল তালা ভাঙ্গা। আদালতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর আলমিরা, ড্রয়ার ভাঙ্গা। বিচারকদের এজলাস ও খাসকামরার সকল আলমিরা ড্রয়ার এর তালা ভাঙ্গা। আইনজীবীদের বসার রুমের আলমিরা ও কেবিনেটের তালা ভাঙ্গা। এছাড়া আইনজীবী সমিতির ষ্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে ওকালত নামা ও কাগজ বিক্রীর ৩০ হাজার টাকা সহ সমিতির ব্যাংক হিসাবের চেক বইয়ের ৫টি পাতা নিয়া যায়। বিভিন্ন অফিস রুমের ড্রয়ার ভেঙ্গে আরও ৫০ হাজার টাকা সহ মূল্যবান কাগজপত্র নিয়া যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতের দুই জ্যেষ্ঠ বিচারক, বেঞ্চ সহকারী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইনজীবী ও কলাপাড়া পৌর মেয়রকে এ মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে।
কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আসাদুর রহমান জানান, সংঘবদ্ধ চোরের দল মূল গেটের তালা না ভেঙ্গে সানসেটের উপরের গøাস ভেঙ্গে আদালত ভবনে প্রবেশ করেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চুরির এ ঘটনার সাথে জড়িত চোরদের শণাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে আদালতের ভাড়া ভবনে চুরির ঘটনায় শহরজুড়ে আলোচনা ও আতঙ্ক চলছে সাধারণ মানুষের মনে। তবে এনিয়ে আদালতে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আইনজীবীদের কেউ গনমাধ্যমের সাথে কথা না বললেও একধরনের ক্ষোভ ও উৎকন্ঠা দেখা গেছে তাদের মধ্যে।