ফরিদ উদ্দিন বিপু,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনি
কলাপাড়ায় হত্যা মামলা আসামীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাধা দেয়ায় মুফতি আঃ আযিজ (২২), ও তার পিতা সামসুল হক গাজীকে (৪৮) মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির সলিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা শাহীদা বেগম জানান, সকালে ঘরের দরজা আগলা রেখে বৃষ্টির কারনে খাটে শুয়ে ছিলাম। হটাৎ আমার ছেলে সামসুল হক দৌড়ে ঘরে ঢুকে মা আমাকে বাচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। কোনকিছু না বুঝেই ছেলেকে দোতালায় নিয়ে ঝাপ লাগিয়ে দেই ,আর আল্লাহকে ডাকি।
এসময় বাড়ির মধ্যে ৪/৫ জন মহিলাসহ আরো ৬/৭ জন পুরুষ ঢুকে ঘরে তান্ডব চালায়। উপরে ঝাপ খুলতে না পাড়ায় নিচে আলমারী ভেঙ্গে টাকা এবং স্বর্ণ নিয়ে যায়। মুফতি আঃ আযিজ জানান, মাদ্রাসায় ছাত্রদের পড়াচ্ছিলাম। এসময় শুনতে পাই আমাদের বাড়িতে বেশকিছু লোকজন হামলা চালিয়েছে। খবর শুনে ঘটনা স্থলে পৌছাতেই আমাকে এলোপাথারি পেটাতে শুরু করে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ঈমরান হোসেন জানান, আমাদের হুজুরকে মারতে দেখে লোকজন ডাকাডাকি করলে দেলোয়ার হোসেন আমাদের ধমক দিয়ে সরে যেতে বলে। আব্বাস হত্যা মামলার ২ নং আসামী সামসুল হক জানান, ফেরিঘাট থেকে বাজার করে মাহিন্দ্রাযোগে বাড়ি ফিরীছলাম। পথে আমার বাড়ির সামনে হামলা চালায় দেলোয়ার মৃধা, আমির মৃধা, শানু খলিফা, জামান খলিফা,ন ফতেমা বেগম, পারভীন, হাচানবানুসহ আরো ৫/৭ জন।
এসময় প্রান বাচাতে দৌড়ে নিজ বাড়ির দোতালায় গিয়ে আশ্রয় নেই। আমার পিছু ধাওয়া করে বাড়িতে ঢুকে পরে বাদী পক্ষের লোকজন। অস্ত্র হাতে আমাকে না পেয়ে আলমারী ভেঙ্গে প্রায় তিন ভরি সোনা ও ধান ব্যবসার দুই লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায়। তিনি জানান, দীর্ঘ এক বছর পর চলতি মাসের ২ তারিখে জামিন পেয়ে বাড়িতে আছি। এখন আমার জীবনের নিরাপত্তা নেই। অভিযুক্ত দেলোয়ারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এরকম কোনো ঘটনা ঘটে নাই, ঘটনা স্থলে পুলিশ এসেছিলো, তারা সব জানে। কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে