চলমান লকডাউনের মধ্যে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিভিন্ন স্থানে বসছে পশুরহাট। এসব পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রতার উপস্থিতিতে চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলেও এক শ্রেণির মুনাফালোভী ইজারাদার মানছেন না সরকারি বিধিনিষেধ। পশুরহাটে শরীরের সঙ্গে শরীর লাগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ত্রেতা-বিক্রেতা। গা-ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেউ দরদাম করছেন, কেউ পশু কিনে পিকআপে তুলছেন। উপস্থিত ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই পশুরহাটে। সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই বাজার পরিচালনা করছেন ইজারাদাররা।
সোমবার উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার দক্ষিনে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা ও লালুয়া ইউনিয়নের বানাতিবাজারে পশুরহাটে ও গতকাল রবিবার ধানখালী ইউনিয়নের নোমরহটে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এতে প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এলাকার লোকজন বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘোষিত লকডাউনে গত ১ জুলাই থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পশুরহাটে পশু বেচাকেনা বন্ধ রাখার ঘোষনা দিলেও বিভিন্ন এলাকায় পশুরহাট বসিয়ে গরু-ছাগল বেচাকেনা চলছে। পাখিমারা বাজারে গরু কিনতে আসা আবুল হোসেন বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে। কেউ তো সামাজিক দূরত্ব মানছে না। এমন কি মুখে মাস্কও ব্যবহার করছে না। ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের কিছুু বলছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক বলেন, গরু বাজার বন্ধের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের জানিয়ে দিয়েছি।