পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গরু হাটে সোমবার সকাল থেকে কেনা বেচা চলছিল। এসময় ছিলনো কোন সামাজিক দুরত্বের। ঘড়ির কাটায় ঠিক ১১ টা। সেই মুহুর্তে হাজির হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। সাথে ছিলেন সোনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশের একটি টিম। এদের দেখা মাত্রই গরু ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভোঁ দৌড়। সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল আইন ২০১৮ এর ২৪/১ ধারা লংঘনে ২৪/২ ধারামতে ১৩ জনকে মোট নয় হাজার তিনশত টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এ অর্থদন্ড করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎ বন্ধু মন্ডল। এছাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমার বাজার সংলগ্ন অবৈধ পশুরহাটটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান লকডাউনের মধ্যে গত পহেলা জুলাই থেকে উপজেলার কলাপাড়া পৌরশহর, মহিপুর বাজার. কুয়াকাটা পৌরশহর, নোমর হাট, বানাতি বাজার, পাখিমারা বাজাওে প্রায় প্রতিদিনই বসেছিল পশুরহাট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলেও এক শ্রেণির মুনাফালোভী ইজারাদার মানছেন না বিধিনিষেধ। শরীরের সঙ্গে শরীর লাগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ত্রেতা-বিক্রেতা। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই এসব পশুরহাটগুলোতে।
সোমবার সকালে পাখামারা বাজারে কোরবানীর জন্য গরু কিনতে যায় মোনাসেফ ব্যাপারী। তিনি সোনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশের একটি টিম দেখে গরু না দেখেই ফিরে আসেন। পাখিামার বাজারে ব্যবসায়ি আমির হোসেন বলেন, সোমার দুপুর ১১ টার দিকে ভ্র্যামমান আদালতের খবর শুনেই গরু ফেলে রেখে ক্রেতা বিক্রেতার দিক বেদিক হয়ে ছুটাছুটি শুরু করে। এরপর পন্ড হয়ে গেছে পাখিমারা বাজারের পশুরহাটটি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎ বন্ধু মন্ডল বলেন, গ্রাম্য বাজারে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করায় পৃথক মামলায় অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া পাখিমারা বাজারের অবৈধ পশুরহাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।