ফরিদ উদ্দিন বিপু কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,১৬ জুলাই।। সম্পদ দখলের পায়তারার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং গভীর রাতে মাছের ঘের থেকে ফেরার পথে হাত পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিক সম্মেলনে পৌর কৃষকলীগের সভাপতি এস এম মুর্তাল্লা সৌরভ। এসময় উপস্থিত ছিলেন অসীম চন্দ্র হাওলাদার এবং তার স্ত্রী পূর্নিমা রানী।
লিখিত বক্তব্যে সৌরভ বলেন, ১৩ জুন মধ্যরাতে আমার মাছের ঘের থেকে ফেরার পথে অসীম হাওলাদারের জমিতে ঘর তুলছে দেখতে পাই। বিষয়টি স্থানীয় থানাকে ফোন দিয়ে জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাইম’র নেতৃত্বে মজিবর, হাকিম, মাহফুজুর রহমান, মনিবুর রহমান, মহিব্বুল্লাহ, আব্দুল মোমেন আমাকে এবং আমার সহযোগী অসীম হাওলাদার বেধরক মারধর করে। সংবাদ পেয়ে কলাপাড়া থানার পুলিশ আমাদের দু’জনকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্বার করে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে নাইম, মহিব্বুল্লাহসহ আরও দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এঘটনায় কলাপাড়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরি দায়ের করি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় হাসানুজ্জামান সিকদার স্থানীয়ভাবে সমাধানের আশ্বাস দেয়।
কান্না বিজরিত কন্ঠে পৌর কৃষকলীগের সভাপতি এস এম মুর্তাল্লা সৌরভ বলেন, ঘটনারদিন রাতে তারা আমাকে ও অসীম হাওলাদারকে হাত-পা বেঁধে মারধোর করে ক্ষ্যান্ত হয়নি গায়ের উপড় উঠে নৃত্য করেছে। এ ঘটনা আড়াল করতে সম্পত্তি দখলের এ প্রসঙ্গটিকে টানা হয়েছে। উল্টে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ৯ জুলাই ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় ‘ধর্মীয় ও সংখ্যালঘুর সম্পদে নজর’ এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আমাকে আহত করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে ঘটনা হচ্ছে তারা নিজেরাই সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের জমি দখলসহ নেছারুদ্দীন ফাজিল মাদ্রাসার ৩০ খতিয়ানের জমি বিক্রি করেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি ১৪১ খতিয়ানে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্নসহ সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে এসব দখলবাজরা আমার নামে মিথ্যা মামলা আনায়ন করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিপক্ষ নাঈম ও মনিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। উল্টো সৌরভ সিকদারই আমাদের জমি দখল করতে এসেছে। এবং ১৩ জুন রাতে আমাদের তাড়া করে বাড়িতে ঢুকানোর সময় আছাড় খেয়ে পড়ে গেছে। এবিষয়টি স্থানীয়রা একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি অবগত হয়ে ঘটনার দিন রাতে উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে আসা হয়। ঘটনাটি জমিজমা নিয়ে বিরোধ। উভয়পক্ষ স্থানীয়দের মাধ্যমে শালিস মিমাংসা করবে বলে চলে যায়।