পটুয়াখালীর
কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর শাখার ডাকঘর এর রানার পদে
ছেলের চাকুরিতে পিতার প্রক্সি দিয়ে যাচ্ছে। তিন বছর আগে মো.কাওসার নামের
এক ব্যাক্তি রানার পদে চাকুরিতে যোগদান করলেও প্রক্সি দিচ্ছেন তারই পিতা
অবসরপ্রাপ্ত রানার মো. গোলাম মাওলা। বৃদ্ধ লোক দিয়ে রানারের কাজ করায় ডাক
সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। এনিয়ে এন্তার অভিযোগ থাকলেও
উপজেলা পোষ্ট মাস্টারকে ম্যানেজ করেই প্রক্সি দিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কাওসার দৌলতপুর শাখার ডাকঘরের রানার পদে যোগদান
করে। যোগদান করার পর থেকে দির্ঘদিন ধরে ঢাকায় রাজমিস্ত্রী কাজ করে আসছে।
দৌলতপুর শাখার ডাকঘরের রানার পদে চাকুরি কাওসারের পিতা মো. গোলাম মাওলা
নিজে করে আসছে। এলাকার বাসিন্দা খলিল সরদার বলেন, দৌলতপুর গ্রামের পোষ্ট
অফিসে দির্ঘদিন গোলাম মাওলা চাকুরি করে আসছে। এই গ্রামে চিঠিপত্র উনিই
বিলি করে।
অভিযুক্ত গোলাম মাওলা জানান, আমি দৌলতপুর পোষ্ট অফিসের রানার চাকুরি
করতাম। অবসরে পর আমার ছেলেকে ওই চাকুরিটাতে যোগদান করে। বেতন কম হওয়ায়
অফিসের স্যারদের কাছে বলে ছেলের চাকুরি আমি করছি। প্রতি মাসের মাসের বেতন
ছেলে সই দিয়ে টাকা নিয়ে যায়। যদিও সরকারি নিয়মে একজনের চাকুরী অন্য জনে
করতে পারেনা।
এব্যাপারে উপজেলা ডাকঘর এর পোষ্ট মাষ্টার ডালিয়া পারভিন বলেন, আমি
কলাপাড়া পোষ্ট অফিসে কিছুদিন আগে যোগদান করি। এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা।