শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
রাজশাহীতে জমি সংক্রান্তের জেরে মিথ‍্যা সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাঘায় দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বাঘায় সমাজসেবার সানোয়ারের জাদুর কাঠিতে সুস্থ-সবল শত মানুষ এখন প্রতিবন্ধি সাভারের গান্ধারিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বাঘায় নবাগত ইউএনও’র সাথে প্রধান শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ শিমুলতলা জোনাল অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ বাঘায় সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা,থানায় মামলা ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী কাউন্সিলর সাহেব আলীর শাস্তি চায় এলাকাবাসি মানবিক বাংলাদেশ চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান সাভারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

কলাপাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাসমান কাঠের সেতু, ভোগান্তিতে কৃষি পল্লীর পাঁচ গ্রামের মানুষ-নিউজ অলটাইম

মো.ফরিদ উদ্দিন বিপু,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি, / ১৪২
নিউজ আপঃ সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২২, ২:২০ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১১৬ মিটার দৈর্ঘ্য এবং চার ফুট প্রস্থের সেই ভাসমান কাঠের সেতুটি ঝুঁকিপূনর্ণ হয়ে হয়ে পড়েছে। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমার খালের উপর গ্রামবাসীর অর্থায়নে এবং স্বেচ্ছাশ্রমে এটি তৈরী করা হয়। পানির উপরে দেয়া হয়েছে প্লাষ্টিকের ড্রাম। তার উপরে কাঠের পাটাতন। বর্তমানে এ সেতুটি অনেকটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। তারপরও কৃষি পল্লী খ্যাত ওই ইউনিয়নের ৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ কোন উপায়ন্ত না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু দিয়ে পরাপার হচ্ছে। এতে প্রায়শই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। তবে এ খালের উপর একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় পাখিমার খালের উপর ১১৬ মিটার দীর্ঘ আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করে। এরপর গত ২০২০ সালে ৬ আগস্ট রাতে হঠাৎ করে ভেঙে পড়ে। ফলে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সবজির গ্রাম খ্যাত মজিদপুর, এলেমপুর, কুমিরমারাসহ আশপাশের গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গ্রামবাসীর অর্থায়নে এবং স্বেচ্ছাশ্রমে ভাসমান এ কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে এ ভাসমান সেতুটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। অনেক স্থান দিয়ে কাঠ ভেঙে গেছে। আবার অনেক স্থান দিয়ে ড্রাম ফুটো হয়ে পানি প্রবেশ করছে। বেশিরভাগ স্থানই দেবে গেছে। ফলে এ সেতু পারাপার হতে গিয়ে প্রায়শই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরা। তাই এ ভোগান্তির অবসানে একটি নতুন সেতু নির্মানের দাবি স্থানীয় কৃষকসহ ওই এলাকার সাধারন মানুষের।

কুমিরমারা গ্রামের কৃষক সুলতান গাজী বলেন, গ্রামে কৃষকরা প্রচুর পরিমানে ধান ও সবজি আবাদ করে থাকে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু এই সেতুর অভাবে এসব মালামাল পরিবহন করতে হয় মাথায় করে। যেটা অনেক কষ্টকর কাজ। স্থানীয় বাসিন্দা জাকির মিয়া বলেন, বর্তমানে এই সেতু দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছে। এছাড়া ছেলে মেয়েরা ভয়ে স্কুলে যেতে চায়না। এক কথায় ভোগান্তির চরম পর্যায় পৌছে গেছে।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মহর আলী জানান, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরই উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। নতুন গার্ডার ব্রিজ নির্মানের লক্ষে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share