পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অর্থের বিনিময়ে অছাত্র, বিবাহীত এবং ছাত্রলীগ কর্মিদের দ্বারা উপজেলা, পৌর ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদলের প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী।
শনিবার সকালে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সম্মুখে মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তারা। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নতুন কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ইমরান।
একই সঙ্গে নতুন কমিটির ১৪ নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগের ঘোষনা দেন। পরে এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা চেয়ে প্রেসক্লাব চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
লিখিত বক্তব্যে ইমরান বলেন, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক গাজী ফারুক, শাহজাহান পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার নাসির এবং উপজেলা বিএনপির সমাজ কল্যান সম্পাদক কাজল তালুকদার আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে স্বজনপ্রিতি করে গোপনে এই কমিটি গঠন করে প্রস্তাবনা আকারে জেলা ছাত্রদলের কাছে অনুমোদনের জন্য প্রেরন করে।
পরে জেলা ছাত্রদল কোন রকম যাচাই বাছাই না করেই এই কমিটি অনুমোদন দেয়।
এছাড়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক তাবিদ আদনান বাদল ছাত্রলীগ কর্মী, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম ছাত্রলীগ কর্মী, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম সাকিব ছাত্রলীগ কর্মী ও বরগুনা জেলার বাসিন্দা এবং এমবি কলেজ শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক সাইফুন নুর ছাত্রলীগ কর্মী।
এমনকি মটোরসাইকেল চালক, ভ্যান চালক, ব্রিকফিল্ড শ্রমিক এবং ২০০২ এর ব্যাচের অনেককেই এই কমিটিতে অন্তুর্ভক্ত করা হয়েছে। যেটা সম্পূর্ন অগঠনতান্ত্রিক এবং সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দরকার নাসির উদ্দিন জানান, সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বাশার উজ্জল জানান, অনেকে পদ না পাওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করছে। যদি ছাত্রদলের মধ্যে কোন বিবাহীতরা প্রবেশ করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।