পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খালের দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংর্ঘষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত ৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলো মো.ইব্রাহিম, জাকারিয়া, আবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর বয়াতী, নূর-হোসেন, নূরহোসাইন, রিপন, নুর ইসলাম ও যুবায়ের। এনিয়ে দিনভর কাটাখালী গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আসে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, মধূখালী গ্রামের নুর-ইসলাম হাওলাদারের নেতৃত্বে নাজমুল, ফেরদৌস, সমেজ উদ্দিন,এনামুল সহ ১০/১২ জন ’কাটাখালী’ নামের সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে দখল করে মাছ চাষ করে আসছে। মাছ চাষের সুবাদে ওই খালের পানির নিয়ন্ত্রন তাদের হাতে নিয়ে নেয়। এতে কৃষক তাদের রোপা আমনের বীজতলা তৈরী সহ অন্যান্য সবজি চাষাবাদ করতে পারছে না। দীর্ঘ দু’মাস ধরে এমন অব¯া’ চলতে থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার আগে এলাকার কৃষকরা ওই বাঁধ কাটতে গেলে তাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করা হয় ।
মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী ১ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য রিপন হাওলাদার জানান, কামাল উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে নুরইসলাম হাওলাদরের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসী জোড় পূর্বক সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষ করে আসছে । পানির নিয়ন্ত্রনও তাদের ইচ্ছানুযায়ী হয়। এতে এলাকার কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সমূখীন হচ্ছিল। কৃষকরাই ওই বাঁধ কাটতে গেলে তাদের উপর হামলা চালানো হয় ।
এ দিকে, বেলা ১১ টার দিকে মারামারির ঘটনার পর পুনরায় বড় ধরনের সংঘর্ষেরআশংকা করছেন এলাকাবাসী ।
অভিযুক্ত নুরইসলাম হাওলাদার জানান, তিনি ওই খালের লীজ এনে মাছ চাষ করছেন ।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.আসাদুর রহমান জানান, দু’পক্ষই খালটি তাদের লীজ আছে বলে দাবি করছে। এ ঘটনায় কোন কোন পক্ষই অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।