কলাপাড়ার কিংবদন্তি সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ’র সাবেক উপাধ্যক্ষ নুরবাহাদুর তালুকদারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার শুভাকাঙ্ক্ষী, ছাত্র-ছাত্রীসহ আতœীয়-স্বজন। ২০২০ সালের পহেলা জুলাই এই দিনে তিনি সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে গমন করেন। তার মৃত্যুতে কলাপাড়ার মানুষের মধ্যে শুন্যতা এবং হাহাকার নেমে এসেছিল। তার মৃত্যুর প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার ভক্তরা।
উপাধ্যাক্ষ নুরবাহাদুর তালুকদারের প্রথম সন্তান গনমাধ্যম কর্মী রাসেল কবির মুরাদ জানায়, গতকাল বাবার প্রথম মৃত্যবার্ষিকীতে বাবার জন্য দোয়া অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু মহামারী করোনার কারনে কঠোর লকডাউন চলায় প্রোগ্রাম বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাবা ছিলেন আমার বাবা-মা দুটোই, তিনি ছিলেন আমার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। তাকে হারিয়ে আজ আমি নি:স্ব। আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
উপাধ্যাক্ষ নুরবাহাদুর তালুকদারের দ্বিতীয় সন্তান তারেক আনাম সুমন জানান, ১ জুলাই প্রথম মৃত্যবার্ষিকী শ্রদ্বা ও ভালবাসায় আব্বা উপাধ্যক্ষ নুর বাহাদুর কলাপাড়ার মানুষের কাছে অতি প্রিয় একটি মানুষ ছিলেন এটা আমরা বিশ্বাস করি। আব্বার মৃত্যুর দীর্ঘ একটি বৎসর অতিবাহিত হল। আমাদের বাবার জন্য কলাপাড়ার সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে দোয়া চাই যেন আব্বা জানাতবাসী হন। তার জন্য সবাই মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন।
তার ভাগ্নে এবং ছাত্র মো: আহসান হাবিব বলেন, কলাপাড়ার কিংবদন্তি উপাধ্যক্ষ নূর বাহাদুর তালুকদার। আজ ১ম মৃত্যু বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী৷ স্যার ইতিহাসের শিক্ষক ছিলেন। তার ক্লাসে বিজ্ঞান বিভাগ এবং বানিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এসে বসতেন। কারন তারা অনুপ্রানিত হতেন। আমার জীবনে আমি কখনও তাকে নেগেটিভ কোন কথা বলতে শুনিনি। স্যার শতশত গরিব শিক্ষার্থীর কলেজের মাসিক বেতন, ফরম পূরন ইত্যাদিতে সাহায্য করেছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, কলাপাড়া উন্নয়ন ফোরামে’র নির্বাহী সভাপতি গাজী মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমরা তার ইতিবাচক কর্মকান্ড তুলে ধরে “কলাপাডার কিংবদন্তি: নুরবাহাদুর তালুকদার” স্মারক গ্রন্থটি প্রকাশ করেছিলাম এবং নাগরিক শোকসভার মাধ্যমে গ্রন্থটির মোডক উন্মোচন করেছিলাম। উদ্দেশ্য তার ভালো কাজ এবং ভালো ব্যাবহারের সামাজিক স্বীকৃতি দেযা ও নতুন প্রজন্মের সামনে অনুসরণের জন্য একটি আদর্শ তুলে ধরা। কলাপাডার উন্নযনের স্বার্থে ও ইতিবাচক সংস্কৃতির বিকাশে তার অবদান অনস্বীকার্য। এ দিনে স্যারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।