পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জোসনা বেগম (৩০) নামের এক সন্তানের জননীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বিদেশ ফেরৎ এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত নয়টার দিকে উপজেলার ধুলাসার ইউপির চরচাপলী গ্রামে ওই গৃহবধুকে গাছের গুড়ি দিয়ে বেধরক পেটানোর পর প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি পুলিশ এমন অভিযোগ নির্যাতিতার স্বজনদের। বর্তমানে জোসনা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন নিয়ে হাসপাতালের শয্যায় যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন।
গৃহবধুর অভিযোগ ঘটনারদিন তার বাড়িতে রোপনকৃত কলাগাছ থেকে কলা কেটে নিয়ে যায় প্রবাসী শাহা ইমরান ও তার পরিবার। এনিয়ে বিচার চাইতে ওইদিন রাত নয়টার দিকে চরচাপলী ইসলামমিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আহম্মেদ’র বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা নারগীস’র সামনেই জোসনার ওপর হামলা চালায় ইমরান। এসময় এলোপাথারী গাছের গুড়ির আঘাতে জোসৎনার মাথায় গুরুতর জখম হলে সংজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানয়ীরা উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে আহতের ভাই আকবরের অভিযোগ ঘটনার পর আমার বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার সময় মহিপুর থানা পুলিশকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখানো হয়। ওসি সাহেব দ্রæত চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের অভিযোগ গ্রহন করেন নি।
এ ঘটনায় পুলিশ গিয়ে সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পেলেও অদৃশ্য শক্তির কারনে মামলা নিচ্ছেন না বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। চরচাপলী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আহম্মেদ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমার স্ত্রী’র সামনে ইমরান জোসৎনার সাথে অন্যায় করেছে। তিনি আরো জানান, আমার স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী ঘটনার সময় ইমরানকে বাধা দিলে তিনি মানেননি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহা ইমরানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান গৃহবুধুকে নির্যাতনের সত্যতা স্বীকার করে জানান, আসামী গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যহত আছে। তবে মামলার বিষয়ে উল্লেখ করে জানান, ওই নারীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। কিন্ত অভিযোগে ধারালো অস্ত্রের কথা মিথ্যা উল্লেখ থাকায় অভিযোগ ঠিক করে লিখতে বলা হয়েছে।