মো.ফরিদ উদ্দিন বিপু,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক সন্তানের জননী জিদনী (২০) নামের এক গৃহবধুকে ধর্ষনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ছুড়িকাঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক লম্পটের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহতাবস্থায় ওই গৃহবধুকে স্বজনরা উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার বালিয়াতলী ইউপির লেমুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধু নিজেই বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো
একই এলাকার বাসীন্দা ভুট্টো মুন্সী (৪৫)। তিনি প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি তার স্বামীকে জানান। ঘটনারদিন তার মৎস্য শিকারী স্বামী সাগরে থাকায় ২ বছরের শিশু সন্তানসহ ঘরে ছিলেন। এ সুযোগে স্বামীর অনুপস্থিতিতে লম্পট ভুট্রো মুন্সি হঠাৎ ঘরের সামনে এসে দুয়ার খুলতে বলে । আমি ভয়ে কোন কথা না বলে চুপ করে থাকি। এসময় ধাক্কা দিয়ে আমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন স্পর্সকতর স্থানে হাত দেয়। একপর্যায় আমার পরিধেয় জামা কাপড় চিড়ে ফেলে ও ধর্ষনে চেষ্টা চালায়। এছাড়া আমার ছোট্ট মেয়েকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, ধস্তাধস্তির এক পর্য়ায় তার কাছে থাকা ছুড়ি দিয়ে হত্যার উদ্দেস্যে আমার গলার ছুড়ি চালায়। আমি হাত দিয়ে ধাক্কা দিলে ছুড়ি এসে আমার মাথায় লাগে এতে আমার মাথা কেটে রক্ত ঝড়তে থাকে। এক পর্যায় অজ্ঞান হয়ে যাই। পরে ভুট্রো মুন্সি ও তার সাথে থাকা মনির তালুকদার (৪৫) নাইম তালুকদার (২০) রুবেল (৩৫) রাসেল তালুকদারসহ (৩০) আরো কয়েকজনকে নিয়ে পালিয়ে গেলে স্বজনরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। ঘটনার সময় ভুট্রো মুন্সির সাথে থাকা লোকজন বাহিরে পাহারায় ছিলেন বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
অভিযুক্ত ভুট্রো মুন্সি মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন, সাজানো নাটক।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে সরেজমিনে তদন্ত শেষে আইনানুযায়ী ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।