এগিয়ে এসেছে ঈদ চাপ কমতে শুরু করেছে ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঢাকামুখী পশুবাহী ট্রাক ও গণপরিবহন। তবে এখনো তেমন কোন চাপ নেই কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের।
সোমবার (১৯ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ফেরিঘাট এলাকা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ঢাকা খুলনা মহাসড়কে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় শতাধিক যানবাহন।
তবে রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় গাড়ীর কোন সারি দেখা যায়নি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন গোয়ালন্দ মোড় হয়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আসছেন। সেখান থেকে কোন ঘাটে ফেরিতে কতটি গাড়ী দরকার সেই চাহিদা অনুযায়ী গাড়ী ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ। ঢাকামুখী এসব যানবাহনকে আধঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরিতে ওঠার জন্য।
ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা এক যাত্রী বলেন, ‘গাবতলী থেকে ভোর ৫টা ২০মিনিটে বাসে চড়েছি। সকাল ৮টায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছেছি। ‘
দৌলতদিয়া বাসস্টান্ড থেকে মাইক্রোবাসে গোপালগঞ্জগামী যাত্রী আকবর হোসেন বলেন, মাইক্রোবাসে ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছে। তবে ঈদের সময় সামান্য ভাড়া বেশি এটা মেনে নিতে হয়।
ঘাট এলাকায় যে ভাড়া নিচ্ছে সেটি এখন পর্যন্ত সহনীয়।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. শিহাব উদ্দীন বলেন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটের কোন প্রান্তেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই। এ রুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। আজ বিকেলের মধ্যেই শাহজালাল নামে একটি ফেরি এ রুটে যুক্ত হতে পারে।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর তারক চন্দ্র পাল বলেন, এবার আমাদের এসপি স্যার বেশিরভাগ সময় ঘাট এলাকায় নিজে উপস্থিত থেকেছেন।
এবার অনেক গরুরগাড়ীর চাপ সামাল দিতে হয়েছ। এবার ঢাকা খুলনা মহাসড়কের কোন অংশে যানজট সৃষ্টি হয়নি। এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির ছিল।