আড়ানী পৌর নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে প্রচার প্রচারনা। আসন্ন এ নির্বাচনে মাঠে লড়ছে ৩ জন মেয়র পদপ্রার্থী। নৌকা প্রতীক নিয়ে শাহীদুজ্জামান শাহীদ এবং ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তুজাম্মেল হক দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত মেয়র প্রার্থী ও নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মুক্তার আলী ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছে।
পৌর এলাকাজুড়ে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র-প্রার্থী বর্তমান মেয়র মুক্তার আলীর নারিকেল গাছ মার্কার সুর শোনা যাচ্ছে মুখে মুখে। প্রতিদিনের নির্বাচনী প্রচারে মুক্তার আলীর নারিকেল গাছ মার্কার পক্ষে হাজার হাজার জনগণের সমাগম লক্ষ করা যাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার(৭ জানুয়ারী) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও চলমান মেয়র মুক্তার আলীর মিছিলে ছিল নারীদের ঢল। এদিক থেকে রবিবার(১০জানুয়ারী) বিকেলে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন মুক্তার আলী। তার পক্ষে এবার মিছিলে নেমেছেন হাজার-হাজার পুরুষ।এক কথায় বলা যেতে পরে, তার নিকটতম কয়েকটি ওয়ার্ডে পুরুষ শূন্য ঘরে। এসব ভোটারদের কাছে এখন প্রতীকের চেয়ে আঞ্চলিক টান এবং ব্যক্তি ইমেজকে বড় করে দেখছে।
আড়ানী পৌরসভাটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে বড়াল নদীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রেল লাইনের উত্তর এবং দক্ষিণকে। এবার মেয়র পদে যে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শহীদুজ্জামান শহীদ এবং বিএনপির প্রার্থী তোজাম্মেল হকের বাড়ী রেল লাইনের উত্তরে। সেখানে ৩ টি কেন্দ্রে ভোটর সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার। অপর দিকে রেল লাইনের দক্ষিন প্রান্তে ৬ টি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। এ পাশ থেকে একক প্রার্থী চলমান মেয়র মুক্তার আলী। তিনি একাধারে ইউপি সদস্য, কাউন্সিলর, প্যানেল মেয়র, ভারপ্রাপ্ত মেয়র এবং সর্বশেষ ৫ বছর মেয়র নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন।
সরেজমিন রবিবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে আড়ানীতে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তার আলীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তার পক্ষে ৪-৫ টি ওয়ার্ডের হাজার-হাজার পুরুষ ভোটাররা যেন সবকাজ ফেলে মিছিলে যোগ দিতে এসেছেন। তাদের মুখে একটি শ্লোগান, জয়ের মালা পরবে কে-মুক্তার ছাড়া আবার কে। হবে-হবে হবে জয়,নারিকেল গাছ মার্কার হবে হয়। এই মিছিলের পূর্বে আড়ানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে উপস্থিত ভোটারদের উদ্দেশ্যে মেয়র মুক্তার আলী বলেন, আমি এর আগেও অনেকবার ভোট করেছি। তবে এবারের মতো সাড়া এর আগে কখনো পায়নি। আমি আপনাদের কাছ থেকে এই মুহুর্তে যে আশার বানী শুনতে পাচ্ছি সেটা হলো আঞ্চলিক টান।আমার কাছে প্রতীক কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, আমার কাছে এখন প্রতিদ্বন্দ্বী হলো ব্যাক্তি। আমি এখন পর্যন্ত রেল লাইনে উত্তরে ভোট চাইতে যাইনি। কারণ তাদের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে। এ কথাটি ভেবে আপনরা আমাকে আর একটি বার নারিকেল গাছ মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়ন করার সুযোগ দিবেন। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, যতদিন বেঁচে থাকবো আপনাদের খেদমত করে যাবো এবং মরার আগের দিন পর্যন্ত জাতির জনকবঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই বেঁচে থাকবো।