সাভার প্রতিনিধিঃ সাভার উপজেলায় নানা বিতর্কে জর্জরিত আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান শাহাবুদ্দিন মাববরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার আনোয়ার জং সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল আশেপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর ও তার ক্যাডার বাহিনীর নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। গত দেড় মাস আগে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হতে হন এক তরুণীকে।
ওই ঘটনায় চেয়ারম্যানের শ্যালক আলমগীর ও ব্যক্তিগত সহকারী সবুজ শিকদারের সহয়তায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণী। তবে আসামিরা গ্রেপ্তার না হলেও মামলার বাদীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী।
বক্তারা আরও বলেন, কিছুদিন আগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ নামে এক ব্যবসায়ী। এরপর থেকে ওই ব্যসায়ীর তাকালপ্রাপ্ত স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে তার যোগসাজশে নানাভাবে ক্ষতিসাধন করে আসছেন এই লম্পট চেয়ারম্যান। এছাড়া বক্তব্য কাটছাট ও এডিটের মাধ্যমে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে কুটক্তির ঘটনা সাজিয়ে হয়রানীমূলক মামলা দায়েরের কিছুদিন পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পাল্টা মামলা দায়ের করেন আরেক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমিদখলসহ রয়েছে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। এসব ঘটনায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী।
পরে মানববন্ধন শেষে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকার স্থানীয় লোকজন। এসময় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, নানা অপকর্মের অভিযোগে একেরপর এক মামলা দায়ের হলেও অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন এই ইউপি চেয়ারম্যান। ক্ষমতাসীন দলের পরিচয় ও ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে মামলা দায়েরের পর বারবার গ্রেপ্তারও এড়িয়ে চলেন তিনি। তার অপকর্ম গণমাধ্যমে তুলে না ধরতে প্রভাবশালীদের নাম ব্যবহার করে সাংবাদিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানাভাবে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে শাহাবুদ্দিন মাদবরের বিরুদ্ধে।
এই বিভাগের আরও খবর....