সোমবার ভোরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অং সান সু চিকে আটক করেছে। দেশটির সর্বশেষ জান্তা শাসনের সময় ইয়াংগুনে লেকের পাশের একটি ভিলায় ১৫ বছর আগে তিনি গৃহবন্দি ছিলেন।
এবার আটকের আগে সু চি ছিলেন দেশটির কার্যত নেতা, যাকে বলা হয় স্টেট কাউন্সিলর। নব্বইয়ের দশকে অহিংস গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বাতিঘর হিসেবে বিবেচনা করা হতো তাকে। পরে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন।
এনএলডির গণমাধ্যম কর্মকর্তা কি টোই বলেন, মঙ্গলবার সকালে তার বাসভবনের ভেতরে সু চিকে হাঁটতে দেখেছেন প্রতিবেশীরা।
সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনপ্রণেতা বলেন, সু চিকে আবার গৃহবন্দি করা হয়েছে। এবার রাজধানী নেপিডোতে তার সরকারি বাসভবনে আছেন তিনি।
ইয়াংগুনভিত্তিক বিশ্লেষক খিন জো বলেন, মনে হচ্ছে সুচি নিরাপদেই আছেন। এখন পর্যন্ত যেসব খবর পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে না তিনি খুব ঝুঁকিতে আছেন।
তাকে আড়ালে রাখার কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সামরিক বাহিনী বলে জানালেন অস্ট্রেলিয়ার লাউয়ি ইনস্টিটিউটের হারভে লিমাহিউ।
তিনি বলেন, মানুষের দৃষ্টি থেকে তাকে বাইরে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে বলে মনে হয়। যেসব জায়গায় জনসমাগত হতে পারে, সেসব জায়গা থেকে দূরে নেপিডোর কোথাও রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হারভে লিমাহিউ বলেন, সুচির স্বাস্থ্য ভালো আছে, এমনটা নিশ্চিত করার মধ্যেই সামরিক বাহিনীর স্বার্থ আছে। বন্দি থাকাকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা মৃত্যুবরণ করলে লোকজন খারাপ কিছু সন্দেহ করে নেবে এবং মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া আসতে পারে।