পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান এখনো দেশটির প্রধানমন্ত্রী। গতকাল রোববার রাতে ক্যাবিনেট সচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেন, ইমরান খান এখন আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেই। তবে এক টুইট বার্তায় দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ঘোষণা দেন যে, ইমরান খানই আপাতত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে দেওয়া সেই টুইট বার্তায় আরিফ আলভি বলেন, ‘সংবিধানের ২২৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ‘এ’ ধারার ৪ নম্বর উপধারা অনুযায়ী, অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত ইমরান আহমাদ খান নিয়াজিই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন।’
জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতাদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার কাসেম খান সুরি। তিনি বলেন, ‘দেশের স্বার্থে’ ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করা হচ্ছে। আর এরপর থেকেই দিনভর নাটকীয় ঘটনা ঘটে দেশটিতে।
ডেপুটি স্পিকারের এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন বিরোধীরা। পাশাপাশি পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজ শরিফকে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা করেন তারা।
১৯২ জন বিরোধীদলের সদস্য অ্যাসেম্বলিতে শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, সেখানে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়েছেন। বিরোধীদের দাবি, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করার বিষয়টি অসাংবিধানিক। আবার রাতে পাকিস্তানের ক্যাবিনেট সচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেন, ইমরান খান এখন আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেই।
এমনকি রোববার অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পর ডেপুটি স্পিকার কাসেম খান সুরির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু করেছিলেন বিরোধীরা।
পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভিকে জানান, ডেপুটি স্পিকারের ‘অসাংবিধানিক পদক্ষেপের’ জবাবে শিগগিরই ‘আইনি লড়াই’ শুরু করবে পিপিপি ও অন্যান্য বিরোধীদল।
বিরোধীদের এসব উদ্যেগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই টুইট বার্তা দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।