লালমনিরহাটের আদিতমারী হাসপাতালকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী। এসব ষড়যন্ত্রকারী দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে এবার ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা, ইউপি সদস্যসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা এসব ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবী করেছেন।
বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি গণপিটিশন জেলা সিভিল সার্জন বরাবরে ডাক যোগে পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ কর্মকর্তা ডাঃ তৌফেক আহমেদ।
গণপিটিশন সুত্রে জানাগেছে, আদিতমারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সম্প্রতি স্থানীয় যুবক আশরাফুল আলম ও বেলাল হোসেন একটি মিথ্যা ও বানোয়াট গণপিটিশন লালমনিরহাট সিভিল সার্জন বরাবরে দায়ের করেন। দায়েরকৃত গণপিটিশনের বিরুদ্ধে এবার ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা, ইউপি সদস্য ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
বীরমুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষরিত গণপিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে,স্থানীয় যুবক আশরাফুল আলম এক সময় হাসপাতালের পথ্য সরবরাহকারীর সহযোগি হিসেবে কাজ করতেন। সে সময় রোগিদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করায় তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর থেকে আশরাফুল আলম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তারই ধারাবাহিকতায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট গণপিটিশন দায়ের করেন। সেই সাথে আবারও হাসপাতালের পথ্য সরবরাহের কাজ পেতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
এদিকে আদিতমারী হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে ডাঃ তৌফিক আহমেদ যোগদানের পর ভঙ্গুর হাসপাতালটির আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসেন। সেই সাথে রোগিদের খাবারের মান ও ঔষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করে সেবার মান বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
ভাদাই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও গণপিটিশনে স্বাক্ষর করা রোকনুজ্জামান রোকন ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
গণপিটিশনে স্বাক্ষর করা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মোল্লা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা যতই ষড়যন্ত্র করুক তারা সফল হতে পারবে না। তিনি আরো বলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ হাসপাতালে যোগদানের পর চিকিৎসা সেবা থেকে সকল ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন করেছেন। তার বিরুদ্ধে এধরনের ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত শাস্তির দাবী করেন তিনি।
আদিতমারী উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌফিক আহমেদ বলেন, স্থানীয় কতিপয় যুবকদের কারণে হাসপাতালের পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। তিনি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সেই সাথে হাসপাতালের সুষ্ঠ পরিবেশ রক্ষায় জোর দাবীও করেন তিনি।
লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মেলুন্দ রায় বলেন,এখন পর্যন্ত এরকম কোন গণপিটিশন হাতে পাইনি। এলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।