সিলেট প্রতিনিধি :আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চলছে। শেখ হাসিনার এই শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে। যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত অভিযান চলবে।
বৃহস্পতিবার সিলেটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর চলমান অভিযান প্রসঙ্গে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
দলের জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য এবং সিলেট জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আ ন ম শফিকুল হক স্মরণে এই শোকসভার আয়োজন করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।
এতে সড়ক ও েেসতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি এই শুদ্ধি অভিযান নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। শেখ হাসিনা নিজের দলের ভেতরে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন এটা বিএনপি সহ্য করতে পারছে না। তাই এই অভিযানকে তারা ভিন্নখাতে প্রবাহিতের চেষ্টা করছে। অথচ এই অভিযানের কারণে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গেছে।
সিলেট নগরীর কাজী নজরুল অডিটরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশে বিএনপির আমলে টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ মাদক সন্ত্রাসের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তখন তারা নিজেদের দলের কারোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়নি। খালেদা জিয়া যা পারেননি, শেখ হাসিনা তা করে দেখাচ্ছেন। তাই সরকারের জনপ্রিয়তা অনেকগুণ বেড়ে গেছে।
সিলেটে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দলের মধ্যে কোন্দল মেটাতে না পারলে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে না। দলের কোন্দল মিটিয়ে দুঃসময়ের কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে বিলম্বের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বারবার প্রস্তুতি নিয়েও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজের অগ্রগতি হয়নি। আমার মন্ত্রণালয়ের এ সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এই প্রকল্পে দেরি হয়েছে। তবে এখন সব জটিলতা কেটে গেছে। শীঘ্রই ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতের কাজ শুরু হবে।
প্রয়াত নেতা আ.ন.ম শফিকুল হককে দুঃসময়ের কান্ডারি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শফিকুল হক অন্ধকারের পথ অতিক্রম করেছেন। তিনি অকুতোভয় ও আপোষহীন ছিলেন। এমন একনিষ্ট ত্যাগী কর্মী আমি খুব কম দেখেছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় শোকসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুর রহমান।
শোকসভায় আরও বক্তব্য দেন সাংসদ দেওয়ান শাহ নেওয়াজ গাজী, মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েস, সাবেক সাংসদ সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, জেলা সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, মাসুক উদ্দিন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবদুল খালিক, সিরাজুল ইসলাম, রাজ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুর আনোয়ার আলোয়ার, বিজিত চৌধুরী, মো. জাকির হোসেন, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. নিজাম উদ্দিন, সুজাত আলী রফিক, নাসির উদ্দিন খান, জেলা সাংগঠনিক এড. শাহ্ মোশাহিদ আলী, মো আলী দুলাল, মহানগর সাংগঠনিক শফিউল আলম নাদেল, এটিএম হাসান জেবুল, নুরুল ইসলাম পুতুল প্রমুখ।