আশুলিয়ার ঠাকুর পাড়া এলাকায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আশুলিয়া ৫ নং ওয়ার্ডে অবৈধ গ্যাস সংযোগের রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে আকাশ দেওয়ান।আকাশ দেওয়ান কে পুরোপুরি সেল্ডার দিচ্ছেন আকাশ দেওয়ানের বাবা বাবু দেওয়ান।প্রতিটি বাড়িতে ও প্রতিটি ঘড়ে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য আকাশ কে দিতে হয় চল্লিশ হাজার(৪০০০০) টাকা।আনুমানিক ধারণা করা হচ্ছে ৩৬/৪০ টি বাড়ি থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন এবং প্রতি মাসে প্রতি বাড়ি থেকে দুই হাজার(২০০০) টাকা জোর পূর্বক নিয়ে থাকেন।আকাশ দেওয়ান গ্যাস সংযোগ বা গ্যাস লাইন টা কে নিজস্ব সম্পত্তিতে পরিনিত করেছেন।৫ নং ওয়ার্ডে বাড়ি রাখতে হলে আকাশ দেওয়ান থেকে গ্যাস সংযোগ নিতেই হবে বাধ্যতামূলক।গ্যাস সংযোগ না নিলেও টাকা দিতে হবে বাধ্যতামূলক।
কেউ গ্যাস সংযোগ নিতে না চাইলে তার উপর চলে বিভিন্ন প্রকার অত্যাচার,হুমকী ধামকী।আকাশ দেওয়ানের একটা নিজস্ব কিশোর গ্যাং বাহিনী আছে,যা আকাশ দেওয়ান নিজেই পরিচালনা করেন।আকাশ দেওয়ান কে সরাসরি সেল্ডার দিচ্ছেন তার বাবা বাবু দেওয়ান।বাবা ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ট ৫ নং ওয়ার্ড বাসী।
এলাকা বাসির ভাস্যমতে, আশুলিয়ায় প্রায় প্রতিটি বাড়ীতেই অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ আছে বলে জানান।অন্যদিকে, অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ না করলে সেই সব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।
সম্প্রতি,গাজীপুর ডিভিশন ও সাভার আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন পোশাক কারখানার মালিক ও বাড়ির মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় আয়োজন করে তিতাস।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন,অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে বিভিন্ন এলাকায় রান্নার চুলায় গ্যাসের প্রেসার কমে গেছে।তাই অবৈধ সংযোগ প্রদানকারীদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে। এদের খুঁজে বের করে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিতাস অফিসের কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী বা ঠিকাদার অবৈধ গ্যাস সংযোগে জড়িত থাকলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি।
কিন্তু তিতাসের কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের কথা আর কাজের কোন মিল পাওয়া যাচ্ছে না।দিনে দুপুরে তাদের চোখের সামনে সিন্ডিকেট করে কাজ করে যাচ্ছে আকশ দেওয়ানের মতো অনেকেই।তাদের কথার বুলিই রয়ে গেলো সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।এর শেষ কোথায় কেউ জানেনা সবার আগ্রহ এর শেষ নিয়ে।এ বিষয়ে প্রতিবেদকের অনুসন্ধান চলছে আগামী পর্বে আরও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।