কথিত অনুপ্রবেশকারীদের আসামে থাকতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার আসামের চাংসারিতে বিজেপির জনসভায় তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা আসামে হবে না, ভারতেও হবে না’।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে আসামে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন বা নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায় প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। যাদের বেশিরভাগই বাংলাভাষী।
মোদীর অভিযোগ, আসাম চুক্তির বাস্তবায়ন যারা করেনি তারা আসামিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং দেশকে ধ্বংস করেছে। তারাই নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। তার দাবি, কেবল তার সরকারই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে।
মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান-আফগানিস্তান আগে একই দেশ ছিলো। দেশভাগের সময় কিছু হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ নাগরিক ভারতে না গিয়ে এসব দেশে থেকে যান। পরে নির্যাতনের মুখে তারা আবার নিজ দেশ ছেড়ে ভারতে আসতে বাধ্য হন। সংখ্যালঘুরা এখন বুঝতে পেরেছে একমাত্র ভারতেই তারা স্বাধীনভাবে চলতে পারেন।’
আসাম ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরায় সভা করছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। এসব জনসভায় বিতর্কিত নাগরিক বিলের পক্ষে কথা বলেন তিনি। নাগরিক বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। সম্প্রতি ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে বিলটির বিপক্ষে বড় ধরনের বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা।
তাঁর কথায়, ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষ এখন আর সকালে ঘুম থেকে উঠেই সংঘাত দেখে না। বরং, খবরের কাগজ খুলে দেখেন তাঁদের রাজ্যের উন্নয়ন ও প্রগতির খবর। কীভাবে এখন খবরের কাগজের শিরোনামগুলি বদলে যাচ্ছে তা লক্ষ করে দেখুন। এটাই সহ্য করতে পারছে না বিরোধীরা। এনডিএ সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির ভাষা, সংস্কৃতিকে আরও এগিয়ে যাওয়ার কাজে ব্রতী। কেউ এই লক্ষ্য থেকে আমাদের বিচ্যুত করতে পারবে না।’
জনসভায় বেশ সময় নিয়ে বক্ততা করেন নরেন্দ্র মোদী। পরে কথা শেষ করেন ভূপেন হাজারিকার গান গেয়ে।