আর কে ওসমান আলী দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর নবাবগঞ্জ উপজেলার ৮ নং মাহামুদ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ফতেপুর পুর্বপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল করিমের(গেন্দা) স্ত্রী মোছাঃ হাছেনা বেগম ও মৃত ভোলা মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ সাইবানী বেগম দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর ধরে বিধবা ভাতা সহ সকল সরকারি সুবিধা বঞ্চিত হয়ে আসছে।
আব্দুল করিম প্রায় ১৫ বছর পুর্বে স্ত্রী ২ কন্যা সন্তান রেখে শ্বাস কষ্টে রোগে মৃত্যু বরন করেন।দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অসহায় হাছেনা বিধবা অবস্থায় বহু কষ্ট করে মেয়ে গুলিকে বড় করে বিবাহ দেন। তার বড় মেয়ে শেফালী বিয়ের পর তার পরিবার কে সন্তানের মুখ না দেখার কারোনে তাকে পরিবার থেকে তারিয়ে দেয় তখন থেকে শেফালী বেগম নিজের মায়ের কাছেই থেকে যায়।
এবং ভোলা মিয়া প্রায় ১৬ বছর পুর্বে স্ত্রী ১ পুত্র ও ৩ কন্যা সন্তান রেখে বিরল রোগে মৃত্যু বরন করেন। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে অসহায় সাইবানী বিধবা অবস্থায় বহু কষ্ট করে মেয়ে গুলিকে বড় করে বিবাহ দেন। বর্তমানে তার এক ছেলে সন্তান থাকলেও সাইবানী বেগম ভিক্ষা করে খান।
নিজের বাড়ীঘরও নেই বর্তমান অন্যের বাড়ীতে বসবাস করছে সন্তানদের নিয়ে ২ জনই ।
বিধবা ভাতার সুযোগ বঞ্চিত হাছেনা বেগম দুঃখের সঙ্গে বলেন কি করবো মেম্বারদের গোপনে ৩/ ৪ হাজার টাকা দিতে পারিনাই। তাই আজ পর্যন্ত কোনো প্রকার ভাতার কার্ড পাইনি।
এবং সাইবানী বেগম বলে ৩/৪ হাজার টাকা নেয় আমার থেকে বিধুবা ভাতার কার্ড দেওয়ার নাম করে কিন্তু আমি আজ পর্যন্ত কোনো প্রাকার কার্ড পাইনি।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।