গাজা উপত্যকায় হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনী (ফাইল ছবি)
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কাছে এমন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরাইলের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধে ‘জয়-পরাজয় নির্ধারণ’ করতে সক্ষম। ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ‘ডেবকাফাইল’ এ স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
এটি বলেছে, হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র এখন ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় নিখুঁতভাবে’ আঘাত হানতে সক্ষম। ডেবকাফাইল আজ জানিয়েছে, সম্প্রতি ইসরাইলের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে হামাসের নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরাইলের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণেই তেল আবিব ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে।
এটি বলেছে, হামাসের নয়া ক্ষেপণাস্ত্র ৩৩৩মিমি-ক্যালিবার ধরনের এবং এটির পাল্লা ১১ কিলোমিটার। ডেবকাফাইলের মূল্যায়ন অনুযায়ী এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভূমি বা গিরিখাদে অবস্থিত ইসরাইলের গোলন্দাজ ইউনিট ও আয়রন ডোন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ সব ধরনের লক্ষ্যেবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত করা সম্ভব।
গত সপ্তাহে গাজা থেকে গাইডেড মিসাইল নিক্ষেপ করে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একটি বাস ধ্বংস করে হামাস। ওই ঘটনার ভিডিও হামাসই প্রকাশ করে
হামাসের ক্ষেপণাস্ত্রটির সবচেয়ে সুবিধাজনক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি যেকোনো চার চাকার গাড়ি বা জিপে করে বহন ও নিক্ষেপ করা যায়। কাজেই হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলি রাডার ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে অনায়াসে গাজার যেকোনো স্থান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে।
গাজা উপত্যকায় এক সংক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর ইহুদিবাদী ইসরাইল মিশরের মধ্যস্থতায় হামাসের সঙ্গে এক যুদ্ধবিরতিতে সই করার কয়েকদিন পর ডেবকাফাইল এ স্বীকারোক্তি দিল। গত সপ্তাহের ওই সংঘর্ষে হামাস’সহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনের নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত এক ইসরাইলি নিহত ও অপর ৮০ জনের বেশি হতাহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী লিবারম্যানসহ একাধিক মন্ত্রী পদত্যাগ করেন।