আনোয়ারুল ইসলাম (আনোয়ার) রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় ও রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার হাট-বাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় না থাকায় শুক্রবার থেকে সকল বাজার বন্ধ ঘোষনা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
প্রতিটি ইউনিয়নের প্রবেশপথ সীমিত করতে ঘোষনা করা হয়েছে এ নিয়ে জেলায় দ্বিতীয় উপজেলা হিসেবে বালিয়াকান্দি বাজার বন্ধের ঘোষণা দিলো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃমনিরুজ্জামান মনির, বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাফিন জব্বার, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নায়েব আলী শেখ, ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খান, নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ সালাম, নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসান আলী, বহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, বালিয়াকান্দি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান, নারুয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সমাধিনগর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি পিযুষ সরকারসহ সরকারী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, বাজার বণিক সমিতির সভাপতি, সম্পাদক, ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামাজিক দুরত্বসহ বেশ কয়েকটি নির্দেশনা মেনে চলার শর্ত নিয়ে গত ১০ ই মে দোকান খোলা হলেও দোকান খোলার সাথে সাথে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য হুমরি খেয়ে পরে মানুষ। যা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়।
কোন প্রকার সামাজিক দুরত্ব না মেনে কেনাকাটার করায় করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঝুঁকি থাকায় সকল দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দোকান, যেমন ঔষধ, সার-কীটনাশকের দোকান খোলা থাকবে। এ সকল দোকান ব্যাতিত সকল প্রকার দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নের একাধিক প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। বাইরে থেকে আগত কোন ব্যাক্তি বাড়ীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকলে তাকে বহরপুর কলেজ কেন্দ্রে আইসোলিউশনে রাখা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘বালিয়াকান্দি উপজেলার বাজার গুলোতে কোনক্রমেই মানুষের সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হওয়ায় উপজেলাতে বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির নেতাদের সাথে বৈঠক করে দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু মাত্র ঔষুধ ও জরুরী পন্যের দোকান খোলা থাকবে। এই আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে সংক্রমন ও স্বাস্থ্যবিধি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।