আনোয়ারুল ইসলাম (আনোয়ার) রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ- রাজবাড়ীতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ৩ হাজার ৮৬৭ হেক্টর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার (২০ মে) রাত থেকে এ জেলায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। সকালে ঝড়-বৃষ্টি থামলেও বৃহস্পতিবার সারাদিনই আকাশ ছিল মেঘলা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ে রাজবাড়ীর বিভিন্ন উপজেলায় অনেক গাছের আম ঝরে গেছে, যা আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়ে উঠতো। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাঁশ, বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ উপড়ে পড়েছে। দীর্ঘ সময়ের বৃষ্টিতে নিচু অঞ্চলের ফসলি জমিতে পানি জমেছে। এছাড়া বাতাসে হেলে পড়েছে পাকা বোরো ধান। তবে এতে ফলনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি কৃষি জেলা কর্মকর্তার।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাজবাড়ীতে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর আবাদি কৃষি জমি রয়েছে। যার মধ্যে আম্ফানের প্রভাবে ৩ হাজার ৮৬৭ হেক্টর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আক্রান্ত ফসলের মধ্যে রয়েছে বোরো ধান ২৭৫ হেক্টর, পাট ২ হাজার ৮৪০ হেক্টর, শাকসবজি ২১২ হেক্টর, তিল ২৪০ হেক্টর, মরিচ ১০০ হেক্টর, ভুট্টা, মুগসহ অন্যান্য ২০০ হেক্টর ফসলাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাষিরা জানান, রাতে অনেক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে, তবে সে তুলনায় ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে কিছু কিছু জায়গার তাদের অনেক চাষির ধান হেলে পড়েছে। আর নিচুর জমির ফসলে জমেছে পানি। পাট, তিল, বাঙ্গি ক্ষেতে পানি দীর্ঘ দিন জমে থাকলে ব্যাপক ক্ষতি হবে।
জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক গোপাল কৃষ্ণ দাস জানান, গতকাল রাাতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ৩ হাজার ৮৬৭ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ো বাতাসে ২৭৫ হেক্টর জমির বোরা ধান হেলে গেছে । এছাড়া নিচু অঞ্চলের পাট ও তিল ক্ষেতে হালকা পানি জমেছে। পানি নেমে গেলে আর সমস্যা থাকবে না। ঝড়ো বাতাসে ফসলের বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শওকত আলী জোয়ার্দার জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে রাজবাড়ীতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।তবে রাজবাড়ী জেলার প্রতিটি উপজেলার সবকয়টি ফায়ার স্টেশনকর্মীরা দুর্যোগ পরবর্তীতে উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত ছিলেন এমনটাই জানিয়েছেন।