মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার উলাশী পূর্বপাড়া গ্রামের গোলাম হোসেনের কন্যা ঝিকরগাছা মহিলা কলেজ ছাত্রী অঞ্জলী খাতুন (২০)কে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। একই গ্রামের কোরবান আলীর পুত্র ঐ এলাকার জামাই ভ্যানচালক সাজ্জাদ (২৫) ও তার শশুর বাড়ী খাঁ বংশের ইদু খাঁর পুত্র হাফিজুর ও মফিজুর,মঙ্গল খাঁর পুত্র মোস্তফা,আব্দুর রহমানের পুত্র নুরুজ্জামান ও কন্যা মুক্তি, নুর আলীর পুত্র মিন্টু,মোস্তফা খাঁর স্ত্রী সুলতানা,আনিছুরের স্ত্রী জেসমিন,মফিখাঁর স্ত্রী শাহিনুর,রাজ্জাক খাঁর স্ত্রী ছায়রাসহ অধিকাংশ সদস্যরা এই হামলা চালায় বলে আহত শিক্ষার্থীসহ পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উলাশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত কলেজ ছাত্রী অঞ্জলী আক্তার(২০)পিতাঃ গোলাম হোসেন,বেবী (৪৫) স্বামী: শাহাজান মিয়া ,মনিরা বেগম (৩০)স্বামীঃ রাসেল হোসেন, শিরিনা খাতুন (২৬)স্বামীঃ আবু বক্কর,ফাইমা আক্তার(৪০) স্বামীঃগোলাম হোসেন, তাদের কে স্থানীয় শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (নাভারন) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আহত অঞ্জলী জানান, দীর্ঘদিন থেকে আমাদের গ্রামের জামাই ভ্যানচালক সাজ্জাদ আমাকে কলেজে যাতায়াতের সময় বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে। সুযোগ পেলেই আমাকে কু-প্রস্তাব দিত,পুকুরে গোসলের সময় কৌশলে মোবাইল ফোনে আমার ভিডিও ধারন করত।
ঘটনার দিন সাজ্জাদকে এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে প্রথমে আমার মাকে এলোপাতারি মারতে থাকে, তারপর ঘটনাস্থল থেকে আমার মাকে ছাড়াতে গেলে একে একে খাঁ বংশের ৫০-৬০ জন সদস্য আমাদের পরিবারের পাঁচ জনের উপর অর্তকিত লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের শরীর থেকে স্বর্ণের ৪টি চেইন প্রায় ৫ ভরি ওজনের ছিনিয়ে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ফেলে রেখে ঐ স্থান ত্যাগ করে।
অঞ্জলী আরো জানায় স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়াই সাজ্জাদ সহ খাঁ বংশের সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে। হামলা করার সময় আমাদের কে মামলা ও সাংবাদিকদের জানানো যেন না হয় বলে হুমকি প্রদান করেন। এজন্য আমাদের উপর হামলার ঘটনা সাংবাদিকদের জানাতে সময়ক্ষেপন হয়েছে।
কলেজ ছাত্রী অঞ্জলীর মা ফাইমা আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে সাজ্জাদ সবসময় উত্ত্যক্ত করতো। তাকে নিষেধ করার পরও সে আমার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিত,এর প্রতিবাদ করতে গেলে প্রথমেই সাজ্জাদ আমাকে কিলঘুসি মারতে থাকে পরবর্তীতে বেধড়ক ভাবে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমাকে আমার পরিবারের সদস্যরা বাচাঁতে এলে সাজ্জাদের শশুর বাড়ীর লোকজনেরা তাদেরকে মেরে আহত করে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার এম এ মারুফ আহত কলেজ ছাত্রী অঞ্জলীর পরিবারের হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তারা হামলার কারনে বিভিন্ন ভাবে আহত হয়েছেন, মাথার সিটিস্ক্যান সহ এক্সরে করাতে বলেছি রিপোর্ট পেলে বুঝা যাবে আঘাত কতটুকু গুরুতর।
শার্শা থানার এসআই মামুন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে খুব দ্রুত সময়ে অভিযুক্ত আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।