শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত দুই বিয়াই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা তাজ খান নাঈমের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট বিরামপুরে শহিদ পরিবারের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নবাবগঞ্জে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সাবেক যুগ্মসচিব নিশীথ কুমার সরকার রাজশাহীতে আল আকসা’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৪ জামাল হত্যা মামলার বাদী ইমরানের বসত বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় হরিলোট প্রতিবাদে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

ভাঙছে নদী, বিলীন হচ্ছে জনপদ

প্রতিবেদকের নাম / ৪৬৬
নিউজ আপঃ বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:০৩ অপরাহ্ন

সম্পাদকীয় ॥

চোখের সামনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। বাজার, স্কুল, হাসপাতাল, পাকা সড়ক গিলে খাচ্ছে নদী। মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে। দুই দিন আগের সম্পন্ন গৃহস্থ হঠাৎ করেই বাস্তুহারা। শরীয়তপুরের নড়িয়া, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, রংপুরের কাউনিয়া, টাঙ্গাইলের ফতেপুর, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন আজ নদীভাঙনে বিপর্যস্ত। কুষ্টিয়ায় ২০০ কোটি টাকার বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় হুমকির মুখে শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িসহ দুটি ইউনিয়ন।

তথ্য সুত্রে জনা যায়, গত দেড় মাসে পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় অন্তত সাড়ে তিন হাজার পরিবার বাড়িঘর ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। মাত্র দুই দিনেই বিলীন হয়েছে মূলফৎগঞ্জ বাজারের তিন শতাধিক দোকানপাট; ঝুঁকিতে পড়েছে আরো ৯ শতাধিক। নড়িয়ার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে এই আশঙ্কায় মালপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ লাইন সরিয়ে নেওয়ায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে বাজার ও হাসপাতালসহ আশপাশের বিদ্যুৎসংযোগ।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য মতে, সাড়ে তিন হাজার পরিবারের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হওয়ার তথ্য লিপিবদ্ধ হয়েছে। এর বাইরে আরো কয়েকটি এলাকা নদীতে বিলীন হওয়ার তথ্য রয়েছে। ওই এলাকায় পদ্মাতীরের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে। অন্যদিকে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়ন। গত তিন-চার দিনের অব্যাহত ভাঙনে এ ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি এখন নদীতে। জমি ও বসতভিটা হারিয়ে পদ্মাপারের শত শত পরিবার এখন নিঃস্ব। ফসলসহ জমি নদীতে বিলীন হওয়ায় কৃষকরা দিশাহারা। কয়েক দিনে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

বিভিন্ন সুত্রে প্রকাশ, পদ্মা সরতে সরতে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার দিকে এগোতে থাকায় কয়েক বছর ধরে এলাকাবাসী সরকারের কাছে আবেদন-নিবেদনসহ মিছিল-বিক্ষোভ করে আসছিল। অবশেষে এ বছরের জানুয়ারিতে হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাসও হয়। কিন্তু কাজ শুরুর আগেই এলাকাবাসীকে এই দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হলো।

নদী আগ্রাসী হলে জনপদ বিপর্যস্ত হবেই। নদী রক্ষণাবেক্ষণে দূরদর্শী পদক্ষেপ না নিলে এমন অবস্থা চলতেই থাকবে। আমাদের নদীগুলোতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং দরকার; কিন্তু তার ব্যবস্থা নেই। নদীশাসনের ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার পাশাপাশি এখন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নদীভাঙনে সর্বস্বান্ত মানুষের পুনর্বাসনে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করবে না।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share