May 24, 2025, 12:38 am
Logo
শিরোনামঃ
রংমিস্ত্রি শাহীন হত্যা: অস্ত্র ও গুলিসহ শুটার মেহেদিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব সাভারে ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি’র মানববন্ধন অবৈধ রেলিক সিটিতে রাজউকের অভিযান, কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা  ৬ দিনের রিমান্ডে কণ্ঠশিল্পী মমতাজ,আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপ সাবেক এমপি মমতাজকে চার হত্যা মামলায় মানিকগঞ্জ আদালতে তোলা হয়েছে আশুলিয়ায় ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি’র মানববন্ধন সাভারে মিথ্যা মামলা, অপপ্রচার এবং কৃষিজমি রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ঢাকা বোট ক্লাবে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সাভারে ৯৪ বোতল ফেনসিডিল সহ পেশাদার দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার ইশরাক হোসেন ইস্যুতে আমাকে দোষারোপ করা সমীচীন হবে না: আসিফ মাহমুদ
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

ভাইরাল হওয়া নাঈমের ইচ্ছা বড় হয়ে মানুষের সেবা করা

প্রতিবেদকের নাম 465
নিউজ আপঃ Saturday, March 30, 2019

সোনাই নিউজ:বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া এফ আর টাওয়ার ঘিরে ও ছিল উৎসুক মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ে ছোট্ট শিশু নাঈমুল ইসলামকেও (১১) দেখা যায়। তবে সে ছিল অনেকটাই আদরে। ভিড় সামলাতে ব্যস্ততার মাঝেও পুলিশ আদর করছিল ছোট্ট নাঈম।

বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের পাইপ ফেটে গেলে সেখান থেকে পানি বের হওয়া ঠেকাতে পাইপের লিকেজে পলিথিন পেঁচিয়ে ধরে বসে ছিল শিশু নাঈম। সেই ঘটনার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এরপর থেকেই ছবির সেই ছোট্ট ছেলেটির প্রশংসা করছেন সবাই।

বৃহস্পতিবার সারাদিন বনানীর আগুন লাগা ভবনটির সামনে ছিল শিশু নাঈম। শুক্রবারও নিজেকে আটকে রাখতে পারেনি সে, সকালেই বাসা থেকে চলে এসেছে এফ আর টাওয়ারের সামনে।

বৃহস্পতিবার আগুন লাগা ভবনের নিচে ও আশপাশে উৎসুক মানুষেরা ভিড় করে থাকার কারণে ফায়ার সার্ভিসের লোকদের আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছিল, ঠিক সে সময় ছোট্ট নাইম ও বনানীর বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে দমকল বাহিনীর সাহায্যে এগিয়ে আসতে। তারা নিজ তাগিদেই সার্বক্ষণিক রাস্তা খালি করে পানির গাড়ি কিংবা অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াতে সহায়তা করেছে।

শুক্রবার এফ আর টাওয়ারের কাছে নাইমের দেখা মেলে। পুলিশের পাশাপাশি মিডিয়াকর্মীরাও নাঈমকে আদর করতে থাকে। আলাপচারিতায় নাইম গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, কড়াইল বস্তির বৌবাজারে বাবা-মা ও বোনের সাথে থাকে সে। তার বাবা রুহুল আমিন ডাব বিক্রেতা আর মা নাজমা বেগম গৃহিণী। আরবানের আনন্দ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র নাঈম।
জানায়, মার কাছ থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে আসে। ভবন থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে দেখছিল সে, মানুষ ছুটাছুটি করছে, ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা আগুন নেভানোর কাজ করছে। শিশু হওয়ায় পুলিশ তাকে নিরাপদে সরিয়ে দিচ্ছিল। জানায়, হঠাৎ আগুন লাগা ভবন থেকে কাঁচ ভেঙে পড়তে থাকে, তখন বড়রা সবাই তাকে সরিয়ে দেয়। একটু পর নাঈম দেখতে পায় তার সামনেই ফায়ার সার্ভিসের পানির পাইপ ফেটে পানি বের হচ্ছে। তখন নাঈম পাইপ চেপে ধরে। কিন্তু পানি বের হওয়া বন্ধ হচ্ছিল না। কেউ একজন পলিথিন এনে দেয়। পরে পাইপের ফাটা জায়গায় পলিথিন পেঁচিয়ে নাঈম তার ওপর বসে পড়ে।

তোমাকে কি কেউ বলে দিয়েছিল পাইপটি চেপে বসে থাকতে এমন প্রশ্নে ছোট্ট নাঈম বলে, না আমি নিজের থেকেই পাইপটি চেপে ধরে ছিলাম, যাতে পানিগুলো পড়ে না যায়, আগুন নেভানোর কাজে লাগে। মানুষ তখন ওপর থেকে চিৎকার করে বলছিল, আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও। অনেক পানির দরকার ছিল আগুন নেভাতে। আমি কোনো ভয় পাইনি, ওই সময় আল্লাহর কাছে সবাই দোয়া করছিল, ভেতরের মানুষগুলা যেন বাঁচে। আমিও চাইছিলাম, একটু সাহায্য করে যদি কাউকে বাঁচানো যায়।

নাঈমের ইচ্ছা বড় হয়ে সে মানুষের সেবা করবে।


এই বিভাগের আরও খবর....
ThemeCreated By bdit.Com
Share