শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত দুই বিয়াই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা তাজ খান নাঈমের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট বিরামপুরে শহিদ পরিবারের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নবাবগঞ্জে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সাবেক যুগ্মসচিব নিশীথ কুমার সরকার রাজশাহীতে আল আকসা’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৪ জামাল হত্যা মামলার বাদী ইমরানের বসত বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় হরিলোট প্রতিবাদে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

বাচ্চাকে মারপিটের নালিশ নিয়ে থানা ফটকে হুনুমানের দল

প্রতিবেদকের নাম / ৪০৫
নিউজ আপঃ সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৪:০৯ অপরাহ্ন

সোনাই ডেক্স:‘বাচ্চা কোলে নিয়ে একদল কালোমুখো হনুমান হঠাৎ করে থানায় হাজির। থানা ভবনের মূলফটকে দু’চার মিনিট অবস্থান করে ঢুকে পড়লো ডিউটি অফিসারের কক্ষে। ততক্ষণে থানায় উপস্থিত অফিসারদের চোখ তো চড়কগাছ! পুলিশের কেউ বুঝতে পারছে না, কী কারণে হনুমানদল থানায়।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোরের কেশবপুর থানায় এ লঙ্কাকাণ্ড ঘটে। বিরল এ ঘটনাটি জানাজানি হলে গোটা উপজেলা শহরে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, অবলা জীব হনুমান তাদের আচরণ ও ভঙ্গি দিয়েই পুলিশকে বুঝিয়ে দিল তাদের বাচ্চাকে মারপিট করা হয়েছে। পরে থানার ওসি প্রত্যেক হনুমানকে শুকনো খাবার দিয়ে এবং হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ঘণ্টা দু’য়েক পরে হনুমান দলটি থানা ত্যাগ করে।

স্থানীয়রা আরও জানান, যুগ যুগ ধরে কেশবপুরে বাস করছে কালোমুখো হনুমান। লোকালয়ে বসবাসে অভ্যস্ত হনুমানগুলো মানুষের মতোই সবকিছু বোঝে। ইতোপূর্বে একটি হনুমানের মৃত্যু কেন্দ্র করে থানা ঘেরাও করেছিলোহনুমান দল। এছাড়াও তাদের জন্য বরাদ্দ খাবার ঠিকাদার কম দিলেও চড়াও হয় তারা।

কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, মানুষের মারপিটে আহত একটি বাচ্চাকে কোলে নিয়ে মা হনুমান প্রথমে থানায় আসে। পরপরই প্রায় ২০ থেকে ২৫টি হনুমান দলবদ্ধভাবে থানার প্রধান ফটকের সামনে ও ডিউটি অফিসারের কক্ষে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে ডিউটি অফিসারের কক্ষে ঢুকে পড়ে। থানা চত্বরে ও অফিস কক্ষে তাদের লাফ-ঝাঁপে পুলিশ সদস্যরা অবাক হন। পরে কিছু শুকনো খাবার দিলে ঘণ্টা খানিক অবস্থানের পর হনুমানের দল চলে যায়। হনুমানের ওপর হামলাকারীদের বিষয়ে তদন্ত করে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন ওসি।

কেশবপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আব্দুল মোনায়েম হোসেন জানান, কেশবপুর উপজেলা শহর ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে পাঁচ শতাধিক হনুমান রয়েছে। তাদের জন্য প্রতিদিন মাত্র ৩৫ কেজি কলা, ২ কেজি বাদাম ও ২ কেজি পাউরুটি দেওয়া হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। খাবার না পেয়ে হনুমান মানুষের বসতবাড়ি ও অফিসে ঢুকে পড়ে। তাছাড়া হনুমান অত্যন্ত স্পর্শকাতর প্রাণী। তাদের ওপর কেউ হামলা করলে তারা দলবদ্ধভাবে এভাবে থানায় যায়। ইতোপূর্বে এ রকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।-বাংলা নিউজ


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share