বিজিবি মোতায়েন, মহাসড়কে পুলিশের তল্লাশির পরও থেমে নেই ঘরমুখী মানুষের যাত্রা। সিএনজি অটোরিকশায় বা প্রাইভেটকারে কিংবা পায়ে হেঁটে, যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন পদ্মার পাটুরিয়া ফেরিঘাটে। ঘাট এলাকা ও ফেরিতে হাজারো মানুষের ভিড়ে চরমভাবে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। অনেকে দৌড় দিচ্ছেন ফেরি ধরার জন্য, যে কোনো মূল্যে উঠতে হবে ফেরিতে। যত কষ্টই হোক না কেনো পৌছাতে হবেই বাড়ি।
বিজিবির মেজর ইমরান হোসেন জানান, ঢাকা থেকে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছানোর পথে রয়েছে ৩ টি বিজিবির চেকপোস্ট। এসব চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ব্যাক্তিগত গাড়িগুলোকে। ফেরত পাঠানো হচ্ছে অনেককেও। তবুও ঘাটে পৌঁছানোর পর দেখা যায় গাড়ির চেয়েও মানুষের ভিড় বেশি।
যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে নানা ভোগান্তির পর যারা ঘাট পর্যন্ত পৌঁছেছেন তাদের বেশিরভাগই জানেন না কিভাবে পৌঁছাবেন অপর পাড়ে। এছাড়াও ঘাটের অন্য প্রান্ত থেকেও কিভাবে বাড়ি পৌঁছাবেন তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
একই অবস্থা দৌলতদিয়া ফেরিঘাটেও। ঘাটের দুইপাশে রয়েছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। ১৬ টির মধ্যে জরুরি সেবার জন্য ২ টি ফেরি চালু থাকলেও উঠতে পারছে না কোনো গাড়ি। ফেরি ঘাটে পৌঁছানো মাত্রই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে উঠে পরছেন তাতে। যাত্রীচাপ সবচেয়ে বেশি রয়েছে ঘাটে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে ফেরি পারাপার হচ্ছে শত শত যাত্রী।
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে যাত্রী পরিবহনের অভিযোগে ঘাট কর্তৃপক্ষ এসব বাহনের সাথে জড়িত ১৩ জনকে করেছে জরিমানা।