মেহেদী হাসান হাসিব, নিজস্ব প্রতিবেদক: সকলের হাতে দ্রুত জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) পৌছে দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে দীর্ঘ দিনের অনিশ্চয়তা কেটে যাবে বাংলাদেশের নাগরিকদের। নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ৩ কোটি র্স্মাটকার্ড কিনবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান
ইসি কর্মকর্তরা জানান, আইডিইএ প্রকল্প-২ এর আওতায় আরো ৩ কোটি স্মার্ট কার্ড কেনা হবে। এজন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর হলেই এটি উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে।বর্তমানে স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট করা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৮টি। সেখান থেকে ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে ৭ কোটি ৯ লাখ ৭৮টি। ভোটারদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে ৫ কোটি ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭২টি।
সূত্র জানায়, বর্তমানে ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৫০ লাখের কাছাকাছি। আর ইসির হাতে আছে সাড়ে ৭ কোটি স্মার্ট কার্ড, ওটির কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি পাচ্ছি এবং নতুন প্রকল্প থেকে কেনা হবে ৩ কোটি। তাহলে সাড়ে ১২ কোটির মতো আমাদের স্মার্ট কার্ডের সংখ্যা হয়ে যাবে।
জানা গেছে, ভোটারদের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১১ সালের বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আইডিইএ প্রকল্পটি হাতে নেয় ইসি। সে সময়কার ৯ কোটি ভোটারদের হাতে উন্নতমানের এই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ফরাসি কোম্পানি অবারথার টেকনোলজিসকে কাজ দেয় ইসি। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কার্ড বুঝিয়ে দিতে না পারায় নির্বাচন কমিশন বর্তমানে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) কাছ থেকে কাজটি করে নিচ্ছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, অবার্থার ৭ কোটি ৭৩ লাখ কার্ড সরবরাহ করতে পেরেছিল। সেই মোতাবেক পূর্বের ১ কোটি ২৭ লাখ নাগরিকের কার্ড ঘাটতি ছিল। এই ক’বছরে ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি বেশি। সব মিলিয়ে আরো প্রায় তিন কোটির মতো কার্ড তৈরি এবং তাতে নাগরিকের তথ্য ইনপুট করে বিতরণে যেতে হবে। আর এজন্য আইডিইএ-২ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আর এই প্রকল্পের ১ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা অনুমোদনও দিয়েছে সরকার। ফলে কেবল নতুন ভোটারই নয়, যাদের দ্বিতীয়বার স্মার্ট কার্ড প্রয়োজন, তারাও পাবেন।