দুর্যোগপ্রবন উপকূলীয় উপজেলা কলাপাড়ার ঘুুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী কার্যক্রম রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। দুর্যোগকালীন সময়ে প্রচরনা আর দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রমের পুরনো সব উপকরন এবং অধিকাংশ সদস্যের বয়সের ভার এ ঝুঁকির প্রধান কারন।
বৈশ্বিক উষ্ণতা জনিত জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে সরাসরি দুর্যোগের ঝুকিতে ১২টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপকূলীয় উপজেলা কলাপাড়া। প্রতি বছর এখানে কমবেশি আঘাতহানে ছোট-বড় অনেক ঘুর্নিঝড়। রয়েছে উপজেলায় ঘুর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর কার্যক্রম। কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে ১৫৮টি ইউনিটে তিন হাজার এক’শ ষাট জন স্বেচ্ছাসেবক। এর মধ্যে পুরুষ স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা হল এক হাজার পাঁচ’শ আশি আর মহিলা স্বেচ্ছাসেবিকার সংখ্যা হল এক হাজার পাঁচ’শ আশি জন। তথ্য কলাপাড়া ঘুর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী অফিসের।
স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে বিতরনকৃত প্রচার ও উদ্ধার কার্যক্রমের বিভিন্ন উপকরন দীর্ঘদিনের হওয়ায় তাও হয়ে পড়েছে ব্যবহার অনুপযোগী। এছাড়াও রয়েছে বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বিশাল সংখ্যার এক স্বেচ্ছাসেবক সদস্য।
বিধিমালানুযায়ী সদস্য অর্ন্তভূক্তির বসয় সীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর। অর্ন্তভূক্তির ক্ষেত্রে সদস্যদরে অবশ্যই হতে হবে সুস্থ-সবল দেহেরে অধিকারী। আর সর্বোচ্চ পঞ্চান্ন বছর পর্যন্ত একজন স্বেচ্চাসেবক হিসাবে সদস্য থাকতে পারবেন। অফিস সূত্র জানায়, সদস্য অর্ন্তভূক্তি স্বেচ্ছাসেবক উপবিধি ১(ক) ও ১০(ক) অনুযায়ী অনেক সদস্য অবসরের বয়সসীমা অতিক্রম করেছে। অনেক সদস্যই রয়েছেন শাররীকভাবে অসুস্থ। এসব সদস্যদের অনেকেই আবার রয়েছে টিম লিডার আর ইউনিট লিডারের মত দ্বায়িত্বশীল পদে।
এ বিষয় নিয়ে কলাপাড়া ঘুর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান জানান, সদস্যদের ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে। সদস্য অর্ন্তভূক্তি স্বেচ্ছাসেবক উপবিধি অনুযায়ী যারা বয়সসীমা অতিক্রম করেছেন বা সুস্থ-সবল নন তাদের বিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।