জায়গা দখল করা নিয়ে বিরোধের জেরে বাগেরহাটের চিতলমারীতে দুই নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। এলাকার হিন্দু পরিবার গুলোতে আতংক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চিন্তা হালদার জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের রায়গ্রামের দেবদাস ও সঞ্জিত রায়ের বাড়িতে সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টার দিকে প্রতিবেশী শাকিল ওরফে জাহিদ শেখের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশিয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে।
এ সময় বাড়িতে কোন পুরুষ না থাকায় নারীরা বাধা দিতে এগিয়ে এলে বৃদ্ধা আয়না (৭০) ও তার পুত্রবধূ সুমতিকে (৪০) একটি বট গাছের সাথে বেঁধে বিবস্ত্র করে বেদম প্রহার করে। তাদের হাতের চুরি ও শাখা ভেঙে ফেলা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে নির্যাতন চালায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা বাধা দিতে এগিয়ে এলেও ওই বাহিনীর হুমকির মুখে কেউই কাছে যেতে সাহস পায়নি।
খবর পেয়ে চিতলমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে চিতলমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় শাকিল ওরফে জাহিদ শেখকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শাকিল ও তার সঙ্গীরা বৃদ্ধা আয়না ও তার পুত্রবধূ সুমতিকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে। এদের শাস্তি হওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে শাকিল ওরফে জাহিদের মা জাহানারা বিবি জানান, ওই জায়গা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে পূর্বের বিরোধ রয়েছে। ওই জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ অনুকূল সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার থানায় মামলা (নং ৪) হয়েছে। ঘটনার মূল হোতা শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সুত্র ইত্তেফাক