কপালে টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় শিক্ষিকাকে হয়রানির অভিযোগে কনস্টেবল নাজমুল তারেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের উপকমিশনার ফারুক হোসেন।
এর আগে সকালে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে এক কনস্টেবলকে শনাক্ত করা হয়েছে। শিক্ষক যে জিডি করেছিলেন, তার যথাযথ তদন্ত হবে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, কনস্টেবল নাজমুল তারেক পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত।
গতকাল শনিবার রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে হয়রানির শিকার হন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি। পরে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এ খবর প্রকাশিত হলে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে অনেকেই নিজের টিপ পরা ছবি ফেসবুকসহ বিভ্ন্নি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। নারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পুরুষরাও। অনেক পুরুষ নিজের টিপ পরা ছবি শেয়ার করছেন। সংসদেও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংরক্ষিত আসনের এমপি সুবর্ণা মুস্তাফা।