ছয়টি ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। তাই এখানে প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর পাল্টে যায় প্রকৃতি। সেই সাথে পাল্টায় মানুষের দৈনন্দিন জীবনের চালচিত্র। পাল্টে যায় চেহারা। পরিবর্তন আসে ত্বকেরও। যদিও বসন্তকাল, তারপরেও চৈত্রের কড়া রোদের তাপে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এক মাসের ব্যবধানে শীতল বাতাসের বদলে শুরু হয়েছে সূর্যের চোখ রাঙানি।
প্রথমত*
জ্বর হলে গোসলকে ‘না’ বলবেন না। নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিদিন গোসল করার অভ্যাস করুন। গোসলের পর চুল ভালো করে মুছে নেবেন। কোনো শিশুর জ্বর বেশি হলে পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে অর্থাৎ স্পঞ্জিং করতে হবে ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটে জ্বর নেমে না আসা পর্যন্ত। আর এর পরেও ২-১ ঘণ্টার ব্যবধানে জ্বর না কমে তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
দ্বিতীয়ত*
সর্দি-কাশি এবং গলাব্যথায় কুসুম গরম পানি পান করবেন। ফ্রিজের পানি, আইসক্রিম, ঠাণ্ডা খাবার খাবেন না। যারা ধূমপান করেন তারা পরিহার করুন। খুসখুসে কাশির অন্যতম প্রধান কারণ হলো ধূমপান।
শিশুর জ্বর বেশি হলে পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে অর্থাৎ স্পঞ্জিং করতে হবে ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটে জ্বর নেমে না আসা পর্যন্ত
তৃতীয়ত*
ঋতু পরিবর্তনের সময়টাতে ডায়েটে বেশি করে স্যুপজাতীয় খাবার রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে চিকেন স্যুপ উপকারী। অন্যদিকে শিশুর কাশি হলেই নিউমোনিয়া ভাববেন না। শিশুকে সিগারেট, মশার কয়েল ও রান্নাঘরের ধোঁয়া থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। তবে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে, খিঁচুনি, ঠোঁট নীল বা কালো হয়ে গেলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।
চতুর্থত*
ঋতুর পালাবদলে শিশুকে সুস্থ রাখতে শাকসবজি ও ফল খাওয়াবেন। পাশাপাশি ঠিকমতো পানি পান করাবেন। সারাক্ষণ বাসায় বন্দি করে না রেখে খেলাধুলা করতে দেবেন। এমন পোশাক পরাবেন না, যা গরম লাগে। বরং বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক বেছে নিন। এবং নিজে যেমন পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকবেন তেমনই শিশুর শরীরও সবসময় জীবাণুমুক্ত রাখবেন।