বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
জামাল হত্যা মামলার বাদী ইমরানের বসত বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় হরিলোট প্রতিবাদে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা মাদ্রাসার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়া প্রকল্পে চাকুরি, লভ্যাংশ প্রদান সহ ৭ দফা দাবিতে পায়রা  তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানব বন্ধন গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে : নতুনধারা   রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সকল সরকার : মোমিন মেহেদী ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের পাশে এসএলএ ২২ দিন পর লাশ উত্তোলন ৩ আসামি কারাগারে  ত্রান প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

প্রতিবেদকের নাম / ৩২২
নিউজ আপঃ শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৯ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতক উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শহরের সাথে গ্রামের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বাড়ির আঙ্গিনাসহ নিম্নাঞ্চলের অনেক বসত ঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। অন্তত অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে।

ইতিমধ্যে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি মানুষের জন্য কোন আশ্রয় কেন্দ্র খোলার খবর এখনও পাওয়া যায়নি। ৫-৬দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ও নোয়ারাই ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার, চেলা নদীর পানি বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ও পিয়াইন নদীর পানি ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ডাইকি, বটেরখাল ও বোকা নদীর পানিও প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার উপর দিয়ে।

প্রবল বর্ষণে সুরমা, পিয়াইন ও চেলা নদীতে পাথর বালুবাহী বার্জ-কার্গো ও বাল্কহেডে লোডিং-আনলোডিং প্রায় বন্ধ রয়েছে। নদীর পাড় সংলগ্ন ষ্টোন ক্রাসার মিল, বেশ কটি পোল্ট্রি ফার্ম ও মৎস্য খামারে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। পৌর শহরের অলি-গলি ও বাসা-বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করে জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

শহরের কানাখালি সড়ক, ফকিরটিলা-মাছিমপুর বাজার সড়ক, ইসলামপুর ইউনিয়নের ছনবাড়ি-রতনপুর সড়ক, ছনবাড়ি-গাংপাড়-নোয়াকোট সড়ক, কালারুকা ইউনিয়নরে মুক্তিরগাঁও সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক, রায়সন্তোষ পুর সড়ক, আমেরতল-ধারন সড়ক, পালপুর-খুরমা সড়ক, বোকারভাঙ্গা-সিরাজগঞ্জ সড়কসহ উপজেলার অনেক সড়কের বিভিন্ন অংশ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

এ ছাড়া ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ, ছাতক-সুনামগঞ্জ ছাতক-দোয়ারা ও ছাতক-জাউয়া সড়কের বিভিন্ন অংশের উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জামুরা, চানপুর, নোয়াগাঁও, ভাসখলা, করচা, গোয়ালগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বৈশাকান্দি এফআইভিডিবি স্কুল, নোয়ারাই ইউনিয়নের চরভাড়া মাদ্রাসা, লামাপাড়া ব্র্যাক স্কুলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ইসলামপুর ইউনিয়নের রতনপুর, নিজগাঁও, গাংপাড়, নোয়াকোট, বৈশাকান্দি, বাহাদুরপুর, ছৈদাবাদ, রহমতপুর, দারোগাখালী, পৌরসভার হাসপাতাল রোড, শাহজালাল আবাসিক এলাকা, কানাখালী রোড, শ্যামপাড়া, মোগলপাড়া তাতিকোনা, বৌলা, লেবারপাড়া, নোয়ারাই ইউনিয়নের বারকাহন, বাতিরকান্দি, চরভাড়া, কাড়–লগাঁও, লক্ষীভাউর, চানপুর, মানিকপুর, গোদাবাড়ী, কচুদাইড়, রংপুর, ছাতক সদর ইউনিয়নের বড়বাড়ী, আন্ধারীগাঁও, মাছুখালী, তিররাই, মুক্তিরগাও, উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আমেরতল, ঘাটপার, শৌলা গাও, গদারমহল, রুক্কা, ছোটবিহাই, এলঙ্গি, রসুলপুর, চরমহলা ইউনিয়নের ভল্লবপুর, চুনারুচর, চরচৌলাই, হাসারুচর, প্রথমাচর, সিদ্ধারচর, চরভাড়ুকা, দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের হরিশ্বরণ, হাতধনালী, রাউতপুর, ধনপুর, চৌকা, রামচন্দ্রপুর, হলদিউরা, কালারুকা ইউনিয়নের নয়া লম্বা হাটি, রামপুর, মালিপুর, দিঘলবন, আরতানপুর, মুক্তিরগাও, ভাতগাঁও ইউনিয়নের জালিয়া, ঘাঘলাজুর, হায়দরপুর, বাদে ঝিগলী, সিংচাপইড় ইউনিয়নের গহরপুর, মহদী, গোবিন্দগঞ্জ পুরান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সারা দেশের সাথে ছাতকের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাস জানান, এখন পর্যন্ত ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবেদা আফসারী জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যেই কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share