হাওর-বিল, বন-বাদাড় আর চা বাগানের সবুজ সমারোহে গড়ে ওঠা নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি শ্রীমঙ্গল। শ্রীমঙ্গল জুড়ে রয়েছে অনেক পর্যটন স্পট। এরমধ্যে শুধু চা-বাগান রয়েছে ৪৪টি। চা-বাগানের অন্যতম সৌন্দর্য হচ্ছে চা বাগানের নয়নাভিরাম লেক।
শ্রীমঙ্গলের অনেক চা বাগানেই রয়েছে কৃত্রিম লেক। লেকের চারপাশে গাছগাছালিতে ভরা। এর সৌন্দর্যই অন্যরকম। শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও চা বাগানের লেক, ভাড়াউড়া চা বাগানের লেক, রাজঘাট চা বাগানের লেক, বিলাশছড়া পরীক্ষণ চা খামারের লেক দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এগুলি ছাড়াও আরো প্রায় বাগানেই লেক রয়েছে। এ লেকগুলো চা-বাগানগুলো সাধারনত সেচ ও মাছ চাষের কাজে ব্যবহার করে। এছাড়াও শ্রীমঙ্গলের পাশর্^বর্তী উপজেলা কমলগঞ্জেও চা বাগানে রয়েছে অনেক দৃষ্টি নন্দন লেক। এর মধ্যে কমলগঞ্জের মাধবপুর চা বাগান লেক উল্লেখযোগ্য। এ লেকে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক পর্যটকের ভিড় জমে। এছাড়াও পদ্মছড়া লেক, আলীনগর লেক পর্যটকদের আগমন ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চা বাগান পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষনীয়। এজন্যে দেশি-বিদেশী পর্যটকরা ছুটে আসেন চা বাগান দেখতে। চা বাগানের মনোমুগ্ধকর এবং নয়ন ভুলানো নৈসর্গিক অপরুপ সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সহজেই। তাই চা বাগানগুলোর ভেতর বিশেষ কিছু জায়গা চা উৎপাদনের সামান্য ক্ষতি না করেও পর্যটকদের জন্য মনোলোভা করে গড়ে তোলা সম্ভব। এটিও হতে পারে বাড়তি আয়ের একটি পথ।
এসব লেকগুলো কেবল সেচ ও মৎস্য চাষের কাজে ব্যবহার না করে পর্যটনের কাজেও লাগানো যেতে পারে। গড়ে তোলা যেতে পারে পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় স্থান হিসেবে। লেকগুলো সামান্য কিছু আকর্ষনীয় আয়োজনে পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যেতে পারে যা বাড়তি আয়ের খুব ভালো উৎস হতে পারে।