সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
রাজশাহীতে জমি সংক্রান্তের জেরে মিথ‍্যা সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাঘায় দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বাঘায় সমাজসেবার সানোয়ারের জাদুর কাঠিতে সুস্থ-সবল শত মানুষ এখন প্রতিবন্ধি সাভারের গান্ধারিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বাঘায় নবাগত ইউএনও’র সাথে প্রধান শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ শিমুলতলা জোনাল অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ বাঘায় সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা,থানায় মামলা ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী কাউন্সিলর সাহেব আলীর শাস্তি চায় এলাকাবাসি মানবিক বাংলাদেশ চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান সাভারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

গোয়ালন্দে গুচ্ছগ্রামে ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ / ১৯২
নিউজ আপঃ মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের বেতকা গুচ্ছগ্রামে ৮০টি ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ করেছে সুবিধাভোগীরা। ঘর নির্মাণের দুই বছর পার হলেও এখনো ঘরগুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে আছ। কোন ঘরেই বসবাস করতে পারছে না সুবিধাভোগীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড হল বেতকা। পদ্মা নদীর মাঝখানে গ্রামটি হওয়ায় সারা বছরই চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। প্রত্যন্ত গ্রামটিতে যারা বাস করেন তাদের অধিকাংশেরই পদ্মায় ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। ভুমি ও গ্রহহীন এসব মানুষের জন্য তৈরি করা হয় তিনশ বর্গফুটের দুই রুমের একটি ঘর। টিন, লোহা আর কংক্রিটের খুটিতে এসব ঘরে কোন কাঠ ব্যবহার করা হয়নি। সামনেই রয়েছে ছোট বারান্দা। বারান্দার একপাশে রান্নার জায়গা। সারি সারি ঘরগুলো দুই বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোন ঘরেই মাটি ভরাট করা হয়নি। ঘরের মাঝখানে দেয়া হয়নি বেড়া। ফলে সুবিধা ভোগীরা ঘরে বাস করতে পারছে না। দুই বছর ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ঘরগুলো পরে থাকার কারনে টিনের বেড়া খুলে পরছে। কংক্রিটের খুটিগুলো ভেঙ্গে পরছে। বেশ কয়েকটি টিউবয়েল এরই মধ্যে চুরি হয়ে গেছে। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা থাকর কথা। কিন্তু কোন ঘরেই এখনো বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়া হয়নি। পাঁচটি পরিবারের জন্য একটি টিউবয়েল আর রয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত ট্রয়লেট। ট্রয়লেটগুলো ভেঙ্গে পরেছে। টিউবয়েল চুরি হয়ে যাচ্ছে।  নদী ভাঙ্গনে ভুমিহীন ও গৃহহীন মানুষের কোন কাজেই আসছে না কোটি টাকা ব্যয়ে গুচ্ছ গ্রামের ঘরগুলো। বেতকা গুচ্ছ গ্রাম নামে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে এবং শেষ হয় ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে। চারিদিকে পদ্মা নদী আর প্রত্যান্ত এলাকা হবার কারনে কেউই খোজ রাখেনি এই প্রকল্পের।

ঘর পাওয়া রাজু সরদার বলেন, আমার পরিবারে সদস্য পাঁচজন। ঘরটি পেয়ে অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ঘরে মাটি ভরাট করা হয়নি। নিজেরা ঘরে মাটি দিতে গেলে আট থেকে দশ হাজার লাগবে। এতটাকা কোথায় পাবে। আর টাকা থাকলে কি সরকারের ঘর নিতাম।

লুকমান প্রামানিক বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় বাড়ি ঘরে পানি ওঠে। কত কষ্ট করে থাকি। সরকার ঘর দিলো সেই ঘরে থাকতে পারছি না। একলাই ভেঙ্গেচুরে পরছে। ঘরের মাটি ফেলানো টাকা সাহেবারা চুরি করছে। দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন হলো ঘরের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ঘরে মাটি দেয়া হয়নি। ফলে সুবিধা ভোগীরা বাসও করছে না। এতদিনে কেন ঘরে মাটি ফেলানো হলো না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গুচ্ছগ্রামে যখন প্রথম মাটি ফেলানো হয় তখন ছিলেন এক ইউএনও স্যার আর আমিও চেয়ারম্যান তখন ছিলাম না। আবার যখন ঘরের কাজ হয় তখনো দুই তিনজন ইউএনও স্যার বদলী হয়েছে। কেন মাটি ফেলানো হয়নি এটা বলা মুশকিল। তবে দ্রতই ঘরে মাটি ফেলানো হবে। গোয়ালন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল হক বলেন, আমি আজই বিষয়টা জেনেছি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই ঘরগুলোতে যেন বসবাস শুরু হয় সেই চেষ্টা করবো।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share