হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদের সঙ্গে এক নারীর সাক্ষাতের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার ১-এর তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তারা হলেন- ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর মো. আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমান।
মহামারীর মধ্যে কারাবন্দিদের সঙ্গে বাইরের কারও দেখা করার সুযোগ না থাকলেও চলতি মাসের শুরুতে কারা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তুষার আহমেদের সঙ্গে এই নারীর সাক্ষাতের ভিডিও প্রকাশিত হলে তা আলোচনার জন্ম দেয়।
গত ৬ জানুয়ারি দুপুরে এই সাক্ষাতের ঘটনা ঘটে। কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাদের যাওয়া-আসার দৃশ্য প্রধান ফটকের ভেতরের সিটিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
হল-মার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির মামলার অন্যতম আসামি তুষার কাশিমপুর কারাগারে আটক রয়েছেন। চ্যানেল টোয়েন্টিফোর ওই ভিডিও নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে শুক্রবার তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
তবে এর আগেই ওই তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে কারা মহাপরিদর্শকের পক্ষে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক মো. আবরার হোসেনের স্বাক্ষর রয়েছে। স্বাক্ষরের তারিখ ১৮ জানুয়ারি হলেও শুক্রবার সাংবাদিকরা তা জানতে পারেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক কারণে তাদের প্রত্যাহার করে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের অতিরিক্ত ডিসি (এডিএম) আবুল কালাম।
তবে কারা কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে চাননি। ভিডিওতে দেখা যায়, বেলা পৌনে ১টার দিকে কারাগারের প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় এলাকায় কালো পোশাক পরা তুষার ঘোরাফেরা করছেন। কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি সালোয়ার-কামিজ পরা এক নারী সেখানে আসেন।
কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইন কারাগারে থাকার সময়ই এ ঘটনা ঘটে